মথুরাপুর: মথুরাপুর ২ নং ব্লকের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দ্রুত উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন বিডিও নাজির হোসেন। ইতিমধ্যে এই কাজের জন্য সমস্ত পক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যার ফলে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।এর আগে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা দ্রুত খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এক মাসের মধ্যে অব্যবহৃত অর্থ দ্রুত ব্যবহার করার জন্য।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পরিণতি! ঘুমের মধ্যে দেওয়াল চাপা পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যায়ের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল মথুরাপুর ২ নং ব্লক। এ নিয়ে মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন জানান, “সমস্ত ব্লকের প্রকৃতি এক নয়। রায়দিঘির অনেক জায়গায় নদী আছে, কোথাও জল জমার সমস্যা আছে। এরপর নির্বাচন চলেছে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ব্লকের তুলনায় অন্যান্য ব্লক একটু এগিয়ে রয়েছে।” কয়েক সপ্তাহ আগে জেলার সব বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থ খরচ করার জন্য গ্রামীন প্রকল্পের টেন্ডার চূড়ান্ত করতে হবে নির্দেশ দেয় প্রশাসন। বলা হয় ১৫ ই আগস্ট এর মধ্যে অব্যবহৃত টাকার কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ টাকা খরচ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রে উত্তাল অবস্থা, নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় গঙ্গাসাগর, পুণ্যার্থীরা সাবধান
মোট টাকার ৬০ শতাংশ পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা, শৌচালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো নির্ধারিত কিছু খাতে খরচ হয় যাকে বলা হয় টায়েড ফান্ড। বাকি ৪০ শতাংশ খরচ হয় রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ছোট সেতু তৈরি করা বা মেরামত করা, আলোর মতো বিভিন্ন খাতে যা আনটায়েড ফান্ড। জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল ৫৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ১ থেকে কুড়ি শতাংশ টাকা খরচ করেছে ছয়টি পঞ্চায়েত সমিতি। যার মধ্যে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে দ্রুত ফান্ড ব্যবহার করে সমস্ত উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও। আর যার জেরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
নবাব মল্লিক