লাইফস্টাইল Medicinal Plant: এই পাতা ‘ধন্বন্তরী’, জ্বালা-ধরা পাইলসের ব্যথা সারায়, গলিয়ে দেয় কিডনির পাথর থেকে গলস্টোন, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন Gallery June 10, 2024 Bangla Digital Desk কম পরিমাণে জল পান করার কারণে শরীরে পাথর হওয়ার সমস্যা বেড়েই চলেছে। আর পাথর হলে তো তা বার করার জন্য অস্ত্রোপচার করাতেই হয়। কিন্তু অপারেশন না করেও এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। কিন্তু কীভাবে? আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ভেষজ পাওয়া যায় যা সেবন করলে আর অস্ত্রোপচারের ঝক্কি পোহাতে হয় না। পাথরের সমস্যা সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে পাথরকুচি পাতার। এমনটাই বর্ণিত রয়েছে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে। ডা. প্রভাত কুমার জানান, পাথরকুচিকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে পাষাণ ভেদ নামেও ডাকা হয়। আর পাষাণ ভেদের অর্থ হল, এটি পাথরও ভেদ করতে সক্ষম। পাথরকুচি পাতা সহজেই ০.৫ মিলি থেকে ২.৫ মিলি পর্যন্ত পাথর গলিয়ে শরীর থেকে বার করে দিতে পারে। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, পাথরকুচি পাতার স্বাদ অম্ল বা টক প্রকৃতির যা পাকস্থলী থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। দেহের কোনও অঙ্গে পাথর হলে তার চিকিৎসায় পাথরকুচি পাতা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এখানেই শেষ নয়, আরও নানা গুণ রয়েছে এই পাতার। অর্শ বা পাইলসের সমস্যা দূর করতেও দারুণ কার্যকরী এই পাথরকুচি পাতা। যদি কোনও ব্যক্তি ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে তা পাইলস বা অর্শের আকার ধারণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পাথরকুচি পাতার রস বার করে সেই রস সকালে এক চামচ এবং সন্ধ্যায় এক চামচ খেলে খুবই উপকার পাওয়া যাবে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? পাথরকুচির ৪-৫টি পাতা নিয়ে তা ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর সেগুলি এক গ্লাস জলে ভাল করে ফুটিয়ে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করলে দারুণ উপকার মিলবে। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা যদি পাথরের সমস্যায় ভোগে, তাহলে সকালে এবং সন্ধ্যায় তাদের ২ চামচ করে পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ানো উচিত। এতে সমস্যা দূর হবে।