কলকাতা: চলতি মাসেই দুটি বৈঠক। কতটা এগলো নিয়োগ জট কাটানোর প্রক্রিয়া? বৈঠকের পর এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় শুক্রবার অনেকটাই আশাবাদী এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো শিক্ষা দফতর আইনের জট কাটানোর ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করছে বলে জানান তারা। গত ১১ তারিখের বৈঠকের পর আজ বৈঠকের দিনক্ষণ ধার্য হয়ে গেলেও ১৪ ডিসেম্বরের যে আদালতের শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই, সেই শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বেজায় চাপে জাদুকর! ইডি দফতরে হাজির পি সি সরকার জুনিয়র! তুমুল জল্পনা শুরু
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছিল, আদৌ কি তবে শুক্রবারের বৈঠক থেকে কোনও সমাধানসূত্র আদৌ বেরিয়ে আসতে পারে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে শুক্রবারের বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাব শিক্ষা দফতরের সামনে রাখার ইচ্ছাপ্রকাশ করা হলে সেই প্রস্তাব শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। ফলতঃ এই বৈঠক বাতিল করেননি তিনি।
চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে ধরনা আন্দোলনের ১০১৩ দিনের মাথায় করা এই বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে একটি সময়সীমার দাবি জানানো হয়। চাকরিপ্রার্থীরা ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনও একটি সদর্থক পদক্ষেপের দাবি রাখেন। যদিও শিক্ষা দফতরের পক্ষে এই সময়সীমার কথা না মানা হলেও অবিলম্বে জট কাটানোর প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা করার কথা বলে আশ্বস্ত করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের।
শিক্ষামন্ত্রী নিজে জানান, অনেকগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার পর শিক্ষা দফতর এবং চাকরিপ্রার্থীরা অনেক বিষয় নিয়েই সহমত পোষণ করতে পেরেছেন, যার জেরে আইনি জটিলতা অদূর ভবিষ্যতে কেটে যাওয়ার বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী সবাই। পরবর্তী বৈঠকের কোনও চূড়ান্ত দিন এক্ষুণি ধার্য্য না হলেও এই প্রক্রিয়ায় সমাধানসূত্র বের করতে ভবিষ্যতে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখবেন দু পক্ষই।