বাঁকুড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য Price Hike: পকেট খালি করার জন্য যথেষ্ট! বর্ষা শুরু হলেও দাম কমবে কবে? বাজারে গিয়ে একটা প্রশ্ন সকলের Gallery July 2, 2024 Bangla Digital Desk ব্যাগ হাতে করে বাজার গিয়ে চোখে জল মানুষের। কারণ আগুনে বাজার বাঁকুড়ার “শস্য ভান্ডারে” । আগুন লেগেছে বাঁকুড়ার ইন্দাসের বাজারে। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম্য সমষ্টি ইন্দাস। মূলত কৃষি নির্ভর নিম্নভূমি দেখা যায় এখানে। শাক,সবজি এবং শস্যের দাম কম হওয়ার কথা এই ব্লকে। তবে দেখা গেল অন্য ছবি। বাজারে আগুন লাগিয়েছে বিরূপ প্রকৃতি, যদিও হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তবুও ভুগছে আমজনতা। (নীলাঞ্জন ব্যানার্জী) সম্পূর্ণ দোষটা প্রকৃতিকে দেওয়া যায় না কারণ মানুষের প্রকৃতির প্রতি বিরূপ ক্রিয়াকর্ম প্রকৃতির রূপ পরিবর্তন করেছে অনেকটা। একেই বলে জলবায়ু পরিবর্তন! যেন তার প্রতিশোধ প্রতিটা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে নিল প্রকৃতি। গ্রীষ্মের প্রখর দাবাদহ অর্থাৎ তাপ প্রবাহের হাত থেকে রেহাই দিতে পারত একমাত্র বর্ষার বৃষ্টি কিন্তু বর্ষাতেও নেই ভাল বৃষ্টির দেখা যদিও কোথাও কোথাও দু চার ফোঁটা হচ্ছে কিন্তু তাতে ভিজছে না মাটি তার ফলে এখনো গ্রীষ্মের সেই দাবদহের কেরামতি। এবার সেই প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের বাজারে। বাঁকুড়ার শস্য ভান্ডারেও অগ্নিমূল্য খাদ্য বাজার। সবেমাত্র গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহ থেকে রেহাই পাওয়ার একটা আশা করা হচ্ছিল যা কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে।সেই সময় কোথায়ও কোথাও ৪৫ কোথাও ৪৭-৪৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল পারদ তার ফলে মাঠের সবজি জ্বলে পুড়ে ছাই আর তার প্রভাব পড়েছে বাজারে বাজারে, সবজি নেই যদিও কোথাও আবার কোথাও রয়েছে হাতে গোনা কিছু সবজি আ বাজারজাত হচ্ছে কিন্তু বাজারের তার দাম আগুন। গ্রহস্থের ঘর চলে আলু, পিয়াঁজ, টমেটোতে। সেই সবজি কিনতেই যেন পকেট গড়ের মাঠ। বাজারে ব্যাগ নিয়ে গিয়েও কর্তারা চোখের জলে নাকের জলে হচ্ছেন। কোনটা হাত দেবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। ঝিঙে ১০০, শসা ১০০, বেগুন ১২০ থেকে ১৫০, পটল ৩০ থেকে ৪০, পিঁয়াজ 30-35, করলা আশি থেকে ১০০, মাছের দাম তো বরাবরই সপ্তম সুরে, এছাড়া মুরগির মাংস ২১০ থেকে ২২০, আম ৫০ থেকে ৭০, ৮০, ৯০ যে যেমন পারছে সে রকম দামে বিক্রি করছে, চোখে জল আসছে গৃহস্থের আর এরকমই চিত্র উঠে বাঁকুড়ার “শস্য ভান্ডার” ইন্দাসে।