লাইফস্টাইল Milk: প্যাকেটের দুধ ‘ফোটাবেন’ নাকি ‘ফোটাবেন না’…? অধিকাংশই জানেন না সঠিক নিয়ম! জানুন কী বলছেন চিকিৎসক! Gallery July 7, 2024 Bangla Digital Desk ভারতীয় বাড়িতে দুধ ফোটানো একটি অতি সাধারণ ঐতিহ্য। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ফোটানো দুধ জীবাণুমুক্ত হয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি কার্যকরী ও উপকারী। কিন্তু, প্যাকেটজাত দুধ কি আদৌ ফোটানো দরকার? আজকাল প্যাকেট দুধ খাওয়ার চল অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই দুধটি পাস্তুরিত করা হয়, অর্থাৎ, এটি ইতিমধ্যে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় যাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা হয়। অনেকে মনে করেন যে প্যাকেটজাত দুধ তাই আর ফোটানোর প্রয়োজন নেই। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে এটি সরাসরি পান করা যেতে পারে। কিন্তু সঠিক উত্তর কী? আসুন চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিই এই প্রশ্নের উত্তর। সিকে বিড়লা হাসপাতালের (দিল্লি) অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ডাঃ রাজীব গুপ্ত বলেন যে প্যাকেটজাত দুধকেও ফোটাতে হবে কি না তা নির্ভর করে দুধের পাস্তুরাইজেশন এবং সংরক্ষণের উপর। যদি দুধ সঠিকভাবে পাস্তুরিত করা হয়ে থাকে এবং প্যাকেজিংও ভাল হয়, তাহলে এই ধরনের দুধ না ফুটিয়ে পান করা নিরাপদ। পাস্তুরাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে দুধে উপস্থিত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া তা গরম করার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে দুধের গুণাগুণ বজায় থাকে এবং দুধ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। সর্বদা দুধ ফোটানো উচিত?এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কাঁচা দুধ খাওয়া কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। কাঁচা দুধে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই কাঁচা দুধ সবসময় ফোটানো করা উচিত। কখন প্যাকেট দুধ ফোটাতে হবে?ডাঃ রাজীব গুপ্তা তাঁর পরামর্শে আরও বলেন যে প্যাকেটজাত দুধ পাস্তুরিত করা হলেও কিছু পরিস্থিতিতে এটি ফুটিয়ে নেওয়াই নিরাপদ হতে পারে। তিনি বলেন যে প্যাকেটজাত দুধের সংরক্ষণ বা পরিবহনের অবস্থা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ থাকলে, ফুটানো একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা মূলক পদক্ষেপ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি দুধের প্যাকেট ফুলে যায় বা ফুটো হয়ে যায় তাহলে এই ধরনের দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও, দুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এটি ফোটানো ভাল। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।