আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর কাণ্ডে পুলিশের তলবে লালবাজারে হাজিরা দিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ বাম ছাত্র যুব সংগঠনের সাতজন নেতানেত্রী৷ এ দিন প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল করে লালবাজারে যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কনিনীকা ঘোষরা৷
যদিও মিছিল আটকাতে বৌবাজারের মুখে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ৷ তবে পুলিশের সঙ্গে কোনও সংঘাতের রাস্তায় যাননি বাম ছাত্র যুব সমর্থকরা৷ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ লালবাজারে ঢোকেন মীনাক্ষীরা৷
মীনাক্ষীরা লালবাজারে প্রবেশের পরেও বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন ডিওয়াইএফআই, এসএফআই-এর কর্মী সমর্থকরা৷ একটানা বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার জমা জলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা৷ লালবাজারে ঢোকার আগে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, আরজি করে ভাঙচুর কাণ্ডের রেশ ধরে তাঁদের কর্মী সমর্থকদের অকারণ হয়রান করছে পুলিশ৷ বিভিন্ন থানা থেকে বাম কর্মী,সমর্থকদের কাছে নোটিস পাঠানো হচ্ছে৷ অবিলম্বে এই হয়রানি বন্ধ করার দাবিও তাঁরা লালবাজারে গিয়ে জানাবেন বলে জানান মীনাক্ষী৷
গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা৷ সেই ঘটনাতেই মীনাক্ষীদের তলব করে কলকাতা পুলিশ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, ঘটনার সময় আজি কর হাসপাতালের বাইরে অবস্থান ধর্নায় ছিলেন মীনাক্ষী সহ বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব৷ এমন কি, ঘটনার পর দোষীদের চিহ্নিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে যে সমস্ত ছবি পোস্ট করা হয়েছিল, সেখানেও বাম ছাত্র সংগঠনের পতাকা হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গিয়েছিল৷
লালবাজারে প্রবেশের প্রায় দেড়় ঘণ্টা পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে আসেন মীনাক্ষীরা৷ কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি চাপা দিতেই আরজি করের চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে৷ এই দুর্নীতির প্রাণভোমরা কোন কৌটতে ভরা আছে, গোটা রাজ্যের প্রতিবাদীদের দায়িত্ব হল তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া৷’