বহরমপুর: বহরমপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে এসি কোচে যাচ্ছিলেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল। অভিযোগ তার পাশে থাকা মহিলা সঙ্গী তাঁরই স্ত্রীর টিকিটে যাত্রা করছিলেন। আর তা নজরে পড়ে যায় টিটির। আর সেই নিয়ে শুরু হয় ট্রেনের মধ্যেই দু’পক্ষের বচসা। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
জানা যায় বহরমপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে এসি কোচে যাচ্ছিলেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল, আর তাঁর সামনের সিটে ছিলেন জলঙ্গীর বিধায়কও। অভিযোগ বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে থাকা মহিলা নাকি কোনও যাত্রী টিকিট না কেটেই উঠেছিলেন। এমনকি পাশে থাকা মহিলা কানাই চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রীর নামের টিকিটের বদলে অন্য মহিলা যাত্রী হিসেবে বসেছিলেন। তাঁর কাছে ছিল শুধুমাত্র একটি জেনারেল টিকিট। আর তা নজরে পড়ে টিটির। আর সেই নিয়ে শুরু হয় ট্রেনের মধ্যেই বচসা। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
দেখা যায়, নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক পাশে একজনকে নিয়ে ট্রেনে বসে আসছিলেন যার কাছে কোনও বৈধ টিকিটই ছিল না। টিটি প্রশ্ন করাতে বিধায়ক টিটি-কে ভয় দেখানো শুরু করেন। বিধায়কের আচরণে যাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ করেন। বিধায়ক বলেন কোর্টে যেতে।
কিন্তু ঠিক কি হয়েছিল? যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের অন্দরে টিকিট পরীক্ষকের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-এর পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে। কানাইচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে ২ জন সফর করছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজনের কাছে ছিল না নিজের টিকিট। এদিকে, ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, এক পুরুষ কণ্ঠ বলছে, ‘আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’ একইসঙ্গে মহিলা কণ্ঠও সরব হতে থাকে। এক মহিলা বলছেন, ‘ট্রেনে এমন একটা হ্যাজার্ড.. একটা ক্যাওস সৃষ্টি করছেন, অন্যের টিকিট-এ চলে আসবেন?’
এরপরই এই বক্তব্যের জবাব দিতে উদ্যত হন তৃণমূলের বিধায়ক। পাল্টা সহযাত্রীরা আরও সরব হন। মহিলা কণ্ঠ বলতে শুরু করেন,’আপনি টিটিইকে টিকিট দেখান’। এই পরিস্থিতিতে গলা চড়াতে দেখা যায় বিধায়ককে। পাল্টা সহযাত্রীরাও সরব হতে থাকেন। অনেককে দেখা যায়, ঘটনার ভিডিও করতে। তখন দেখা যায়, আরও একজন বক্তব্য রাখছেন বিধায়কের হয়ে। আবারও মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘জেনারেলের টিকিট নিয়ে আপনি এখানে বসে..’। আর এই কথোপকথনের ভিডিও ঘিরেই উত্তাল হয়েছে নেটপাড়া।
কৌশিক অধিকারী