ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: ঘরে শুধু শুধু বসে না থেকে ৭০ হাজার টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, চোখ বুজে লাভ হবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা Gallery May 20, 2024 Bangla Digital Desk কেউ যদি একজন গবাদি পশুর খামারি হন, তবে এই খবরটি তাঁর জন্য খুবই কাজের। ভারতে পশুপালন এবং দুগ্ধ খামার ব্যবসার কৃতিত্ব অনেকটাই মহিষ পালন খাতে যায়। মুরারের মতো মহিষের জাত দুগ্ধ উৎপাদন খাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই কারণেই এখন শহরগুলোতেও মানুষ স্বতন্ত্র দুগ্ধজাত পশু পালন করছে। পশুপালন ব্যবসা থেকে অল্প সময়ে ভাল মুনাফা অর্জন করতে চাইলে শুরু করা যেতে পারে মহিষ পালনের ব্যবসা। তথ্যের জন্য, আমরা জানিয়ে রাখি যে, মুরারের মতো একটি শীর্ষ গ্রেডের মহিষ প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লিটার দুধ দেয়, যা এখন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পশুপালন সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় মহিষ ক্রয়ে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে। অনেক রাজ্য সরকারও দুধ উৎপাদনের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়াচ্ছে এবং পশু চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। খামারিরা ইচ্ছা করলে ৫টি মহিষ নিয়ে একটি দুগ্ধ খামার শুরু করতে পারেন, যা এক বছরের মধ্যে লাভ করা শুরু করবে। এটি মহিষের এমন একটি জাত, যা পালন করে যে কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবেন। নগর বালিয়ার সরকারি ভেটেরিনারি হাসপাতালের ডেপুটি চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এস ডি দ্বিবেদী লোকাল 18-কে জানিয়েছেন যে, জেলার অধিকাংশ গবাদি পশু খামারিরা মুরার জাতের মহিষ পালন করে ভাল লাভ করছেন। এই জাতের মহিষ পালনের অনেক সুবিধা রয়েছে। একটি হল এরা সহজে অসুস্থ হয় না এবং দ্বিতীয়ত, এরা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লিটার দুধ দেয়। এভাবেই চেনা যাবে মুরার মহিষ –ডা. এস ডি দ্বিবেদী জানান, মুরার মহিষের রঙ গাঢ় কালো, শিংগুলো অন্যদের থেকে ছোট, শক্ত এবং পিছনের দিকে বাঁকানো। এর চোখও কালো। ঘাড় লম্বা ও চিকন হওয়া এদের চেনার আরেকটি লক্ষণ। এর দাম প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এইভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব –ডা. এস ডি দ্বিবেদী জানিয়েছেন যে, অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মুরার মহিষের দুধে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং এসএনএফ রয়েছে। এই দুধ থেকে পনির, দই ও ঘি খুব ভালভাবে তৈরি হয়। এই মহিষ দিনে গড়ে ১৫ থেকে ২০ লিটার দুধ দেয়। যদি আমরা ১৫ লিটারের নিরিখে দেখি, তাহলে বলতে দ্বিধা নেই যে মহিষের দুধ প্রতি লিটার অন্তত ৫০ টাকায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ মহিষ দিনে ৭৫০ টাকা, মাসে ২২,৫০০ টাকা এবং বছরে ২,৭০,০০০ টাকার মূল্যের দুধ দেয়। এভাবে ধীরে ধীরে মুরার মহিষের সংখ্যা বাড়তে থাকলে লাভও বাড়তে থাকবে।