ভাল লাভ হওয়ায় এখন জায়গায় জায়গায় মাশরুম চাষের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আগে শুধু পাহাড়ি এলাকাই এই চাষের জন্য উপযোগী বলে বিবেচিত হলেও, বর্তমানে নতুন কৃষি কৌশলে এখন সমতলেও মাশরুম চাষ হচ্ছে। কম সময়ে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই ব্যবসার থেকে ভাল ব্যবসা আর নেই।এই কথা ভেবেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ চা বাগানের মহিলাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেন। যেখানে কিভাবে এই ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করে তাঁরা লাভবান হতে পারবেন এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়েছে।আমাদের দেশে মূলত তিন ধরনের মাশরুম চাষ হয়— বোতাম, পোয়াল, ঝিনুক। এর মধ্যে সহজেই বাড়িতে চাষ করা যায় ঝিনুক মাশরুম বা ওয়েস্টার মাশরুম। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝিনুক মাশরুম চাষের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।এছাড়াও এই মাশরুমের চাহিদাও বাজারে ভীষণ বেশি। তাই এই মাশরুম চাষে খুব সহজেই লাভের মুখ দেখতে পারেন সকলেই।গরমকাল বাদ দিলে প্রায় সারা বছর এই মাশরুম চাষ করা যায়। তবে, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই চাষ করতে পারলে ভাল। শুকিয়ে রেখে দিতে পারবেন সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত। প্রশিক্ষক অমরেন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘ দুমাসের মধ্যেই মাশরুম হয়ে যায়। গোটা বছর জুড়েই চাষ করা যায়। বাজারে চাহিদা বেশি। তাই এই মাশরুম চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক।’তিনি আরও বলেন, ‘ ডুয়ার্সের চা বাগানের মহিলারা এখন চা পাতা তোলা ছাড়াও নতুন কিছু করতে চাইছে। তাদের জন্য এই ওয়েস্টার মাশরুম চাষ অত্যন্ত ফলদায়ক হতে পারে। কম সময়ে অল্প পুঁজি লাগিয়ে ভাল আয় করতে পারেন সকলেই।’তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের পক্ষ থেকে ডুয়ার্সের ভিন্ন চা বাগান এলাকা গুলিতে এই প্রশিক্ষণ দেবার প্রচেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। কর্মশালায় যোগ দিয়ে এক প্রশিক্ষার্থী জানান, ‘ আজ এই কর্মশালায় এসে অনেক নতুন কিছু শিখতে পারলাম। মাশরুম চাষ করে কিভাবে আমরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারব। কিভাবে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব সে সব শেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে হাতে ধরে ওয়েস্টার মাশরুম চাষের পদ্ধতি শেখানো হয়েছে।’
