পশ্চিম মেদিনীপুর, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে শুরু ব্যবসা, প্রতি মাসে ঘরে আসবে মুঠো মুঠো টাকা Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk শুরুর সময় সম্বল ছিল মাত্র ৫০০০ টাকা। তাও নিতে হয়েছিল বাড়ি থেকে। করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থা থেকে শুরু হয় এই ব্যবসা। তবে বর্তমানে মাসিক বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন হচ্ছে তাদের। যে ব্যবসা শুরু হয়েছিল মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিয়ে এখন সেই ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ভাল ইনকাম হচ্ছে তাদের। এমনকি কাজের মরশুমে ১০ থেকে ১২ জন কাজ করে তাদের কাছে অর্থাৎ কর্মসংস্থানেরও দিশা দেখাচ্ছে তারা। স্বাভাবিকভাবে চাকরি কিংবা অন্যান্য কাজের পিছনে না ছুটে সামান্য ব্যয় এবং সৃজনশীল ভাবনা চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে মাসিক বেশ ভালো উপার্জন হতে পারে এই ব্যবসা করে। তবে প্রয়োজন উদ্দেশ্য, ধৈর্য এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা থানার অর্জুনী এলাকার বাসিন্দা অভিনব মহাপাত্র এবং অজিতাভ মহাপাত্র। করোনা, লকডাউন এর সময় থেকে সামান্য পাঁচ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন এই সাজসজ্জা বা ডেকোরেশনের ব্যবসা। প্লাস্টিক ফুল, শুকনো কাঠি, থার্মোকল, ফুল, লাইট সহ একাধিক জিনিস দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ডেকোরেশন এর কাজ করে তারা। এভাবেই স্বল্প পুঁজি নিয়ে যে ব্যবসা শুরু হয়েছিল তাই এখন বহরে বেড়েছে। প্রসঙ্গত বর্তমান দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সৃজনশীল ডেকোরেশন সকলের খুব পছন্দের। এখন সেই অর্থে ফুল দিয়ে তেমন সাজানো হয় না। ফুলের বদলে বিভিন্ন সৌখিন জিনিস যেমন কুলো, পাখা, থার্মোকল বিভিন্ন প্লাস্টিক ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে। জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ প্রধান তিনটি অনুষ্ঠানে ডেকোরেশন এখন সকলের কাছে খুব পছন্দের। বিবাহ অনুষ্ঠানে প্যান্ডেলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ডেকোরেশনে সাজিয়ে তোলা হয় চারিদিক। শুধু তাই নয় ছোট বাচ্চা হলে তার অন্নপ্রাশন, জন্মদিন এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজানো হচ্ছে এই সকল জিনিস দিয়ে। মানুষের পছন্দমত নিত্যনৈমিত্তিক ক্ষেত্রে নানান সৃজনশীল ভাবনাচিন্তা ফুটিয়ে তুলেছে এই দুই ভাই। শুধু সামাজিক অনুষ্ঠান নয় বিভিন্ন প্যান্ডেলেও থিমের কাজ করে তারা। গ্রামীন এলাকায় যে কেউ অনায়াসে শুরু করতে পারে এই ব্যবসা। কলকাতা কিংবা বিভিন্ন বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কাঁচামাল। শুধু তাই নয় নিজের সৃজনশীল ভাবনা-চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে মাসিক অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা হতে পারে এই ব্যবসায়। প্রথম থেকেই অভিনব ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল। অন্যত্র কাজ করলেও করোনার সময় ফিরে এসে শুরু করে এই ব্যবসা। তবে বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মরশুমে তার কাছে বেশ অর্ডার আসছে। স্বাভাবিকভাবে গ্রামীণ এলাকায় থেকে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে স্বনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে এই দুই ভাই।