ব্যবসা-বাণিজ্য, মুর্শিদাবাদ Money Making Tips: কাঁথা স্টিচের শাড়ি থেকে মুঠো মুঠো টাকা আয় করছেন মহিলারা ! Gallery August 28, 2024 Bangla Digital Desk মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম গ্রামীণ এলাকায় মহিলারা তারা নিজেদের পায়ে স্বর্নিভর হতে তৈরি করছেন কাঁথা স্টিচের শাড়ি। বিভিন্ন হাতের কাজে ফুটিয়ে তুলে তৈরি হচ্ছে এই শাড়ি। দশ জন মহিলা তারা স্বর্নিভর গোষ্ঠী থেকে ঋন নিয়ে বর্তমানে বেশ ভালই আর্থিক উপার্জন করছেন। ‘নকশি কাঁথার’ গল্প তো সকলেই জানেন। সাধারণত দিদিমা-ঠাকুমারা এই কাঁথার উপর নতুন নকশা তুলতেন। কাঁথারও বিভিন্ন প্রকার ভেদ রয়েছে। লহরী কাঁথা, পাড়খোলা কাঁথা, আসন কাঁথা, রুমাল কাঁথা, লেপ কাঁথা ইত্যাদি। কাঁথা স্টিচের শাড়ি গ্রাম বাংলার অন্যতম লোকশিল্প। বাঙালি মধ্যবিত্তের ঘরে যখন নতুন ছোট্টো অতিথির আগমন ঘটে, তখন বাড়ির মা, জেঠিমা বা ঠাকুমারা তাদের পুরনো শাড়ি বা পুরনো বস্ত্র দিয়ে কাঁথা তৈরি করতে শুরু করে। তারা মনে করেন এই নরম কাপড় দিয়ে নিজের হাতে তৈরি কাঁথার উপর বাড়ির ছোট্ট সদস্য খুব নিশ্চিন্তে তার ঘুমের সময়টুকুকে উপভোগ করতে পারবে।তাই গ্রামীণ এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তারা ঋণ নিয়ে এখন দু’হাজার টাকা প্রতি শাড়ি থেকে রোজগার করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। জানা যায়, মুলত কাপড়ের ওপর একজন চিত্রশিল্পী বিভিন্ন ধরনের নকশা অঙ্কন করেন। তারপর সেই নকশা ধরে নকশার ভিতরটি বাদ দিয়ে স্টিচ করা হয় বাইরের বেশিরভাগ অংশ। যার জন্য সময় লাগে বিপুল। একটি শাড়ির স্টিচ করতে সময় লাগতে পারে এক থেকে তিন মাস। নির্ভর করছে ঠিক কতজন সেলাই করছেন তার ওপর। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন নতুনত্ব ঘরানার শাড়ি তৈরি হচ্ছে জেলা জুড়ে। রিভার্স কাঁথা স্টিচ তার মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে। প্রধানত তিন ধরনের কাঁথা স্টিচের শাড়ি আমরা দেখতে পাই। যথা- তসর, সিল্ক এবং সুতি। সুতির শাড়িতে এই নকশা খুব হালকা করা হয়। তাই সেখানে কাঁথা স্টিচের কাজ কম থাকে। সুতির কাঁথা স্টিচ শাড়ি তৈরি করতে সময় লাগে ১৫ দিন থেকে ১ মাস। আর এই শাড়ি তৈরি করে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন জেলায়। যা অর্থ উপার্জন হয় তা দিয়েই চলে সংসার।