লাইফস্টাইল Morning Walk harmful effect: রোজ মর্নিং-ওয়াক? সকালে হাঁটা হতে পারে মারাত্মক বিপজ্জনক… আশঙ্কা ফুসফুসের রোগের! কিন্তু কেন? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ Gallery October 26, 2024 Bangla Digital Desk প্রতিনিয়ত দূষণের কারণে বাতাস ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। শ্বাস নিলেই যেন দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। হাসপাতালে কাশি ও অন্য রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। তাই এই সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। যখনই দূষণের মাত্রা কমতে শুরু করবে এবং বাতাস পরিষ্কার হবে, তখনই শুধু সকালে হাঁটার কথা ভাবুন, তাহলেই আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। নয়া দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের পালমোনারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের চেয়ারম্যান ডা. জিসি খিলনানি জানান, সকালে বাতাসে বাসমান কণা মাটিতে বা মাটির খুব কাছাকাছি থাকে। যারা সকালে হাঁটতে যায় এবং এই বাতাসে শ্বাস নেয়, তারা বিশুদ্ধ বা তাজা বাতাসের পরিবর্তে এই দূষিত উপাদানগুলিই বুক ভরে নেয়। আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করেন, আপনার বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং আপনি বেশি শ্বাস নেন, এমন পরিস্থিতিতে এই দূষণ এবং কার্বন সরাসরি আপনার ফুসফুসে পৌঁছে যায় এবং তারপরে রক্তে চলে যায় এবং আপনার ক্ষতি করে। আবার সন্ধ্যা ৬-৭টার পর হঠাৎ করে ধোঁয়াশা আসতে শুরু করে। তাই রাতে খাওয়ার পর হাঁটতে গেলেও রোগ দেখা দিতে পারে। তাহলে উপায়? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মর্নিং ওয়াক হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের জন্য মর্নিং ওয়াক খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। হাঁটা এই ধরনের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। মর্নিং ওয়াক সব বয়সের মানুষের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন মর্নিং ওয়াক করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। কেউ যদি মানসিক চাপ বা উদ্বেগে থেকে থাকেন, তবে সকালের এই হাঁটা তাঁকে স্বস্তি দিতে পারে। কিন্তু সকাল-রাত উভয় সময়েই যদি বিপদ হয়, তাহলে হাঁটবেনটা কখন? বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, সূর্যোদয়ের পরে মর্নিং ওয়াক করতে পারেন। সূর্যের আলোর সঙ্গে সঙ্গে দূষণও কমে যায়। সে সময় হাঁটলে শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনও সমস্যা হয় না। এ সময় বাতাসও পরিষ্কার থাকে। তাই সকাল ৮-৯টার সময়টাই ব্যায়াম বা হাঁটার জন্য বেছে নিন।