‘এ আমার কেউ নয়, জোর করে নিয়ে যাচ্ছে’, ফুঁপিয়ে কান্না চার বছরের শিশুর, মিথিলা এক্সপ্রেসে হইচই

মতিহারি, বিহার: ভরদুপুরে মিথিলা এক্সপ্রেসে ধুন্ধুমার। বছর চারেকের একটি মেয়ে খুব কাঁদছে আর চিৎকার করে বলছে, “এ আমার কেউ নয়, জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’’ ঘটনার কথা ঝড়ের গতিতে চাউর হয়ে যায়। পরের স্টেশনেই ধরা পড়ে ছেলেধরা। মতিহারি জিআরপি ও আরপিএফ গ্রেফতার করেছে এক যুবককে। জানা গিয়েছে, ওই শিশু বানজারিয়া থানা এলাকার সিসওয়া পশ্চিম গ্রামের বাসিন্দা। তাকেও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ জানিয়েছে, সিসওয়া পশ্চিম গ্রামের নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল ওই শিশু। গভীর রাতে তার ঘরে ঢোকে এক যুবক। তার নাম লক্ষ্মী প্রসাদ ওরফে ভিকি। যুবক বাড়ির গেট খুলে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে পালায়। সকালে হইচই পড়ে যায়। বাড়ির মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বানজারিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন– ছুটিতে নিজের গ্রামে এসেছিলেন সেনা জওয়ান, বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোতেই পুলিশ ঘিরে ধরল ! তারপর ?

শিশুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। দুপুর নাগাদ মতিহারি রেল স্টেশন থেকে বানজারিয়া থানায় খবর দেওয়া হয়, মিথিলা এক্সপ্রেসে একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই খবর শুনে হতবাক হয়ে যান সকলেই। খবরে বলা হয়, রাক্সৌল থেকে কলকাতাগামী মিথিলা এক্সপ্রেসে একজন যুবক একটি মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি খুব কাঁদছে আর বলছে, “এ আমার কেউ নয়, আমাকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’’

আরও পড়ুন- সাপ্তাহিক রাশিফল ৫ অগাস্ট – ১১ অগাস্ট: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

যাত্রী মারফত এই খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে জিআরপি। আরপিএফের সহায়তায় মেহসি স্টেশনে পাকড়াও করা হয় যুবককে। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকেও। এরপর দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় মতিহারিতে। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানিয়েছে, তার বাড়ি বানজারিয়ায়। এরপরই জিআরপি বানজারিয়া থানায়ব খবর দেয়। পরে জানা যায়, ওই যুবক পাশের গ্রামের বাসিন্দা। সে মেয়েটিকে চুরি করে সুগৌল স্টেশন থেকে কলকাতাগামী মিথিলা এক্সপ্রেসে উঠেছিল। কলকাতায় এনে মেয়েটিকে বিক্রি করে দেওয়ার ধান্দা ছিল তার।

বর্তমানে মতিহারি থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। পাশপাশি শিশু চুরির অভিযোগে ধৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুবককে বানজারিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে জিআরপি।