বাঁকুড়া: নোংরা আবর্জনা ভরে গেছে মুকুটমণিপুরে। প্লাস্টিকের প্যাকেট থেকে শুরু করে ড্যামের মধ্যে প্লাস্টিকের বোতল, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পুজোর পর যেন আবর্জনায় চাপা পড়েছে মুকুটমণিপুর।
এই আবর্জনার চাপে ব্যতিব্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা। বাঁকুড়ার মুখ্য পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুর। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গা, প্রতিনিধিত্ব করে গোটা জেলার। সেই দিক থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বেশ কিছুটা গাফিলতি দেখা গেল।
আরও পড়ুন- আলো আর আলো… কান্দিজুড়ে আতশবাজি প্রদর্শনী! শয়ে শয়ে মানুষের ঢল
এমনিতেই আসছেন না পর্যটকরা, পুজোর দুদিন মাত্র ভিড় থাকার পরও কেন এত আবর্জনা? প্রশ্ন করছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, পর্যটকেরা ঢোকা মাত্র টোলট্যাক্স থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া সত্ত্বেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিছুই হচ্ছে না।
অনেকেই মুকুটমনিপুর আসেন জল,জঙ্গল এবং পাহাড়ে একটু একাকীত্বে সময় কাটাতে। তবে এমন আবর্জনা থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে পরিবেশ। কমে যাবে পর্যটক আনাগোনা। খাতড়া মহকুমার মহকুমা শাসক জানান, প্রশাসনের নজরে এসেছে বিষয়টি।
এদিকে সামনেই উপনির্বাচন। তার আগে যেন পর্যটকদের সামনে গুরুত্ব কমেছে মুকুটমণিপুরে। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা মনে করেন নতুন কিছু না করলে মুকুটমণিপুরে আর মানুষ আসবে না। তার সঙ্গে বাড়তি চিন্তার কারণ আবর্জনা এবং প্লাস্টিক।
আরও পড়ুন- কোলাহলের মাঝে আদিবাসী সংস্কৃতিতে মোড়া আশ্রম! একবেলা কাটিয়ে দিলে শান্তির খোঁজ
কংসাবতী জলাধারের নীল জলরাশি, গোটা জলাধার বিস্তৃত ছোট বড় টিলা, হরিণের দ্বীপ এবং পাহাড়ের উপরে শিবের মন্দির, সঙ্গে নৌকো বিহারের সুবিধা, সবকিছুই অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মুকুটমনিপুর চাইছে সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকরা।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও। সচেতনতার অভাবে পর্যটকেরাই অপরিষ্কার করছেন ঘোরার জায়গা গুলি, ব্যবহার করা প্লাস্টিক ফেলে দিচ্ছেন যত্রতত্র। একটু সচেতনতা অবলম্বন করার পাশাপাশি প্রশাসন উদ্যোগ নিলে পাল্টে যাবে চিত্র।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী