Tag Archives: Mukutmanipur

Mukutmanipur Tourism: পর্যটকহীন মুকুটমণিপুর, করুণ অবস্থা ব্যবসায়ীদের! কিন্তু কেন জানেন? কষ্ট হবে জানলে

বাঁকুড়া: তীব্র দাবদাহের জেরে পর্যটক শূন্য মুকুটমণিপুর। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায় ভাটা, ফলে ধুঁকছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। পর্যটনের মরসুম ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও চলতি মরশুমে পর্যটকহীন বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুর। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন এখানকার হোটেল ব্যবসায়ী, নৌকা চালক থেকে পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ছোটো বড় বহু ব্যবসায়ী।

পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় উপার্জন বন্ধ-সহ ব্যবসায় ক্ষতির মুখে মাথায় হাত পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীদের। এক ব্যবসায়ী জানান, “সম্ভবত সবে ভোট হয়েছে বলে কেউ আসতে চাইছেন না। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি কখন পর্যটকরা আসবেন। অন্যান্য বছর এই সময় পর্যটকেরা থাকেন। এবছর কেউ নেই।”

মুকুটমণিপুরে পর্যটক নেই
মুকুটমণিপুরে পর্যটক নেই

আরও পড়ুন: জিম সেরে বাড়ি ফেরার পথে গঙ্গায় স্নান তরুণ বডি বিল্ডারের! নদী থেকে আর উঠে এল না ত্রৌনক, মর্মান্তিক

নদী, টিলা, সবুজে ঘেরা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুর রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। একদিকে সবুজে ঘেরা টিলা, অন্যদিকে, কাঁসাই ও কুমারী নদীর মিলন স্থলে তৈরি এশিয়ার বৃহত্তম মাটির বাঁধ কংসাবতী জলাধার। জলাধারকে ঘিরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমনিপুর। বহু পর্যটকের আনাগোনা থাকে এখানে, যেমন হেঁটে পর্যটন কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন অনেকেই, ঠিক তেমনি এই কংসাবতী জলাধারে নৌকা বিহার পর্যটকদের আলাদা আনন্দ দেয়।

আরও পড়ুন: দিঘায় এবার নয়া আকর্ষণ! ৮০ আসনের ক্রুজে প্রমোদভ্রমণ-খানাপিনা! কবে থেকে বুকিং শুরু? জানুন

বছরভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটকেরা এই মুকুটমণিপুর পর্যটক কেন্দ্রে ছুটে আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তাই এই পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বহু হোটেল-সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় খাবারের দোকান, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের দোকান। মুকুটমণিপুরে ঘুরতে আসা পর্যটক অভিনেত্রী দীপান্বিতা সেনগুপ্ত বলেন, “দেখে খুবই খারাপ লাগছে। পর্যটকের ভিড় নেই। ব্যবসায়ীদের ব্যবসাতে মন্দা। তবে আমার মুকুটমণিপুর ঘুরতে বেশ মজা লাগছে।”

পর্যটকদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য অটো ও ইঞ্জিন ভ্যান চালিয়ে অনেকেই রোজগার করেন। কিন্তু বর্তমানে পর্যটন শূন্য পরিস্থিতিতে মাথায় হাত এখানকার নৌকা চালক থেকে ব্যবসায়ী সকলের। ব্যবসায় লাভ তো দূরস্ত, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের, এমনটাই জানাচ্ছেন তারা। কবে গরম কমবে, কবে পুরনো ছন্দে ফিরবে আবার, সকলের চেনা মুকুটমণিপুর, সেদিকেই তাকিয়ে এখানকার নৌকা চালক, হোটেল মালিক, থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bengal Tourism: ভয়ঙ্কর সুন্দর! বাঁধ থেকে ৩০০০ কিউসেক জল ছাড়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ মুকুটমনিপুরে আসা পর্যটকরা

বাঁকুড়া: ‘ঝর ঝর ঝর্ণা…’
মুকুটমনিপুর বাঁধ থেকে ছাড়া জল দেখে এমনই উচ্ছ্বল হয়ে উঠল পর্যটকদের মন। সেক অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য। মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে ৩০০০ কিউসেক জল ছাড়া হল কংসাবতী নদীতে। পর্যটনের অফ সিজনে এমন দৃশ্য দেখে খুশি পর্যটকরা।

আরও পড়ুন: বাবাই আবিরের বিরাট চাহিদা, গ্রামে গ্রামে দেদার বিক্রি

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জলাধারের ভিতর প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজের জন্য জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। না হলে এমন সময়ে এতটা জল ছাড়ার কথা নয়। বর্তমানে মুকুটমণিপুর জলাধারের জলস্তরের উচ্চতা ৪১৩ ফুট। তবে কংসাবতী নদীতে জল ছাড়ার ফলে নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে।

এদিকে জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিত প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা হয়। জলাধারের মেন গেট দিয়ে কংসাবতী নদীতে জল ছাড়ার সেই ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য জলাধারের পাড়ে ভিড় করেন পর্যটকরা। মুকুটমনিপুরের পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে এসে জল ছাড়া দৃশ্য দেখতে পাওয়া যেন বাড়তি পাওনা বলে মনে করছেন পর্যটকরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

মূলত এই সময়ে পর্যটকেরা পলাশ ফুল দেখতে বাঁকুড়ায় পাড়ি দেন। বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুরেও দেখা যায় পলাশ ফুলের সম্ভার। যদিও এই বছর পলাশ ফুল একটু দেরিতে দেখা যাচ্ছে। তবুও পলাশের সন্ধানে বাঁকুড়ার রানি মুকুটমনিপুরে এসে বাড়তি পাওনা হল জল ছাড়ার দৃশ্য, এমনটাই বলছেন পর্যটকরা। কলকাতা থেকে মুকুটমনিপুরে ঘুরতে আসা পর্যটক চুমকি ঘোষ এই দৃশ্য দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

মুকুটমনিপুরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে একের পর এক সুপার বাইক! ১০০ টাকা দিলেই চালানো যাবে

প্রকৃতির কোলে বাচ্চাদের মন কেড়ে নিচ্ছে ছোট মোটর সাইকেল এবং চারচাকা গাড়ি।
প্রকৃতির কোলে বাচ্চাদের মন কেড়ে নিচ্ছে ছোট মোটর সাইকেল এবং চারচাকা গাড়ি।
বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার মুকুটমণিপুর রাজ্যের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার মুকুটমণিপুর রাজ্যের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
শীতের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে এই ব্যাবসা। ১০০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে গাড়িতে চাপার সুযোগ।
শীতের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে এই ব্যবসা। ১০০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে গাড়িতে চাপার সুযোগ।
মূলত বড় শহরের শপিংমলগুলোতে এতদিন দেখা যেত এই ছোট গাড়ি এবং মোটর সাইকেলগুলো।
মূলত বড় শহরের শপিংমলগুলোতে এতদিন দেখা যেত এই ছোট গাড়ি এবং মোটর সাইকেলগুলো।
বাঁকুড়ার বাচ্চাদের কাছে এগুলোতে চাপার সুযোগ এতদিন ছিল না। এই নতুন আয়োজনে সকলেই খুশি।
বাঁকুড়ার বাচ্চাদের কাছে এগুলোতে চাপার সুযোগ এতদিন ছিল না। এই নতুন আয়োজনে সকলেই খুশি।
মুকুটমণিপুরের আলপনা রাস্তার উপরে পেয়ে যাবেন এই গাড়িগুলি।
মুকুটমণিপুরের আলপনা রাস্তার উপরে পেয়ে যাবেন এই গাড়িগুলি। পর্যটকদের অনেকেই তাঁদের ছেলেমেয়েদের এই গাড়িতে চড়াচ্ছেন সামান্য টাকার বিনিময়ে। 

Weekend Tourist Spot: মুকুটমণিপুর দু’জন ঘুরে দেখুন মাত্র ৫০ টাকায়! দোলের ছুটিতে একদিন ঘুরে আসুন! মুগ্ধ হবেন নিশ্চিত

বাঁকুড়া: মুকুটমণিপুর ঘুরতে গিয়ে অতি স্বল্প মূল্যে পেয়ে যাবেন ইকো সাইকেল। চাইলে আপনার মনের মানুষকে চাপিয়ে একান্তে ঝামেলা ছাড়াই ঘুরে দেখুন মুকুটমণিপুর। মনোরম প্রকৃতির মধ্যে আনন্দের সঙ্গে চালান সাইকেল। একদম ইকো ফ্রেন্ডলি ভাবে যাতায়াত করার সুযোগ তাও আবার মুকুটমণিপুরের মনোরম পরিবেশে সাইকেলের মাধ্যমে।

আরও পড়ুনঃ বাচ্চা হবে ‘জিনিয়াস’! হারাতে পারবে না কেউ! রোজ খেতে দিন এই ৫ খাবার! স্মৃতিশক্তি হবে তুখোড়! ফলাফল পাবেন হাতেনাতে

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা সবসময়ই চান একটু “অফবিট” জায়গাগুলিতে পৌঁছতে। অনেক সময় দেখা গেছে কিছু কিছু রাস্তা অত্যন্ত শুরু হওয়ার কারণে গাড়ি বা মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে পারছে না, ফলেই সেই লুকানো জায়গা গুলি লুকানোই থেকে যায় সারা জীবন। খাতড়া মহকুমার তরফে এবং মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে ইকো সাইকেল পরিষেবা। মাত্র ৫০ টাকা মূল্যে প্রতি ঘন্টায় এবং ৩০০ টাকার বিনিময়ে সারাদিন চালাতে পারবেন এই সাইকেল।

মুকুটমনিপুর এসে মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির টুরিস্ট ইনফর্মেশন সেন্টারে যোগাযোগ করলেই বুক করতে পারবেন সাইকেল। রয়েছে আধুনিক হাইড্রোলিক লাগানো সাইকেল, ডুয়েল প্যাডেল সাইকেল যা যুগলদের বিশেষ পছন্দ। দুই সিটওলা ডাবল প্যাডেল এই সাইকেল দুইজন মিলে চালাতে পারবেন। তাছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের সাপোর্টিং চাকা লাগানো সাইকেলের ব্যাবস্থা। অনলাইনে বুক করা যাবে ইকো সাইকেল।

মুকুটমণিপুরের মূল সৌন্দর্য তার কংসাবতী ড্যাম এবং সেই সংলগ্ন এলাকায় থাকলেও মুকুটমণিপুরে লুকিয়ে রয়েছে বহু লুকানো জায়গা। সেই লুকানো জায়গাগুলোতে যাতে খুব সহজেই যাওয়া যায় তার জন্যই এই সাইকেলের ব্যবস্থা। বাইরে থেকে আগত পর্যটকেরা এই সাইকেলের পরিষেবা পেয়ে যথেষ্ট খুশি। এবং কেউ কেউ মনে করছেন প্রতিবার মুকুটমণিপুর এসে ইকো সাইকেল ব্যবহার করেই ঘুরে বেড়াবেন। ইকো সাইকেল শুধু নামেই ইকো নয় কাজেও পরিবেশবান্ধব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোরা মুকুটমণিপুর পরিবেশ স্বচ্ছ রাখতে ইকো সাইকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করবে এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী