প্রতীকী ছবি৷

Biryani: বিরিয়ানি ১৫০০, মটন কষা ৭০০০! জেলের মেনু কার্ড দেখলে মাথা ঘুরে যাবে

মুম্বাই: চিকেন ফ্রায়েড রাইস ২০০০ টাকা, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ১৫০০৷ চিলি চিকেন খেতে চাইলে খসাতে হবে ১৫০০ টাকা৷ আর এক প্লেট মাটন কারির দাম ৭ হাজার, মাটন মশলার দাম ৮০০০ টাকা৷

দাম দেখলে মনে হতে পারে কোনও পাঁচ তারা হোটেল৷ আসলে এটাই নাকি মুম্বাইয়ের তালোজা সেন্ট্রাল জেলের অলিখিত মেনু কার্ড৷ এই দাম দিলেই প্রভাবশালী বন্দিরা জেলে বসেই নিজেদের পছন্দের পদ পেয়ে যান৷ এ নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছেন জেলের সাধারণ বন্দিরা৷

আরও পড়ুন: অঙ্গীকার করেছিলেন বুদ্ধদেব, কীভাবে করা যায় দেহদান? জানুন নিয়ম, খুঁটিনাটি

২০১৮ সালের ভিমা কোরেগাঁও হিংসার ঘটনায় ওই জেলেই বর্তমানে বন্দি সুরেন্দ্র গাদলিং জেলে খাবার নিয়ে এই বৈষম্যের অভিযোগ তুলে মহারাষ্ট্রের থানের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগও জানিয়েছেন৷ অভিযোগ পত্রে তিনি দাবি করেছেন, জেলের তথাকথিত ভিআইপি বন্দিরা দু বেলাই অস্বাভাবিক চড়া মূল্যের বিনিময়ে মুরগি, খাসির মাংসের মতো বিভিন্ন সুস্বাদু পদ সহকারে এলাহি খাওয়া দাওয়া সারছেন৷

দুর্নীতি দমন শাখায় জমা পড়া ওই অভিযোগ অনুযায়ী, ৮০০০ টাকার বিনিময়ে জেলে বসেই মাটন মশলা মিলছে৷ চিকেন মাঞ্চুরিয়ান খেলে দাম পড়ছে ১৫০০ টাকা৷ ১০০০, ২০০০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানির মতো বিভিন্ন ধরনের উপাদেয় পদ৷ একই জেলে খাবার নিয়ে এই বৈষম্যের অভিযোগে সাধারণ বন্দিদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায় এবং তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে৷

অভিযোগ, জেল অফিসার সুনীল পাটিল নিজেই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷ প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছটার মধ্যে খাবারের বিনিময়ে টাকার লেনদেন চলে৷ পরে ভিআইপি বন্দিদের পছন্দ মতো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়৷

এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ জেলে সত্যিই কোনও অনিয়ম চলছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷