মুম্বই: নভি মুম্বইতে ২০ বছরের এক তরুণীকে নৃশংস ভাবে খুন। গভীর রাতে উরানের একটি রেল স্টেশনের কাছে ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় যশশ্রী শিন্ডের থেঁতলানো মৃতদেহ। হত্যার পিছনে তরুণীর প্রেমিকের হাত রয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
যশশ্রীর বাড়ি উরানে। কাজের সূত্রে প্রতিদিন বেলাপুরে যেতে হত তাঁকে। বৃহস্পতিবারও সকালে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শেষ পর্যন্ত হদিশ না মেলায় বাধ্য হয়ে উরান থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে যশশ্রীর পরিবার।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, উত্তরের ৫ জেলায় আবহাওয়ার বড় খবর
শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। সেখান থেকে জানা যায়, রেল স্টেশনের কাছে ঝোপের মধ্যে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতদেহ যশশ্রীর বলে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। মৃতের পেটে ও পিঠে একাধিক ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সিদ্ধহস্ত এই সহজলভ্য সবজি! ‘গ্লাস স্কিন’ পেতে খান ও মুখে মাখুন
মৃতদেহের মুখ পুরোপুরি থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। গোপনাঙ্গেও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ফলে প্রাথমিক ভাবে দেহ শনাক্ত করতে বেগ পায় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় যশশ্রীর পরিবারকে। তাঁরা পোশাক এবং কোমরের ট্যাটু দেখে দেহ শনাক্ত করেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ফরেনসিক পরীক্ষায় যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলায় অতিরিক্ত ধারা যুক্ত করা হবে।
ব্যর্থ প্রেমের জেরেই এই হত্যা বলে অনুমান করছে পুলিশ। যশশ্রীর বাবা সুরেন্দ্র কুমারের অভিযোগ, দাউদ শেখ নামের এক যুবকই তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে দাউদ পলাতক। তাকে ধরতে ৭টি দল গঠন করেছে উরান থানার পুলিশ। পাশাপাশি তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চও।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ যশশ্রীকে খুন করা হয়। যাতে দেহ শনাক্ত না করা যায়, তার জন্য মুখ থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত। খুনের আগে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কি না, ফরেনসিক পরীক্ষা করে দেখা হবে। যশশ্রী এবং সন্দেহভাজন যুবকের গতিবিধি জানতে সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।