Shree Siddhivinayak Ganesh Temple: দর্শনার্থীদের বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য, আরও সুন্দর করে সাজানো হবে শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ মন্দির

আরও সুন্দর করে সাজানো হতে চলেছে মুম্বইয়ের প্রসিদ্ধ শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ মন্দিরকে। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু করেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)।জনপ্রিয় ওই মন্দিরের কোথায় কোথায় সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তা ড্রোন উড়িয়ে সমীক্ষা করা হবে। মূলত পুজো দেওয়ার জন্য আগত দর্শনার্থীদের বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত। আর এই সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের তালিকায় থাকবে মন্দিরের প্রবেশস্থলে সুবিশাল দ্বার তৈরি, ভাল পার্কিংয়ের সুবিধা, ভক্তদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ ও বাইরে বেরোনোর পথ, ভিড় নিয়ন্ত্রণের সুব্যবস্থা, পানীয় জল ও শৌচাগারের মতো সুবিধা, বসার ব্যবস্থা এবং লম্বা লাইনে দাঁড়ানো দর্শনার্থীদের জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করা।

এখানেই শেষ নয়, মন্দিরের আশপাশের অংশকেও সুন্দর করে সাজানো হবে। থাকবে উন্নত পথঘাট, ফুটপাথ, যাতায়াতের সুব্যবস্থা, ফুটপাথ এবং মন্দিরের প্রবেশস্থলের উপর থেকে দখল উচ্ছেদ, ভক্তদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা এবং সমাবেশের একটি অংশ।মুম্বইয়ের সবথেকে বিখ্যাত মন্দির হল শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ মন্দির। সারা দেশ তথা বিশ্ব থেকে ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে। এমনকী অমিতাভ বচ্চনের মতো বলিউডের তারকারাও মাইলের পর মাইল হেঁটে মন্দিরে গিয়ে দর্শন সারেন। অন্যান্য বারের মতোই শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ মন্দির নিয়েও একটা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট বানাবে বিএমসি। রাস্তার তথ্য, বিদ্যমান স্ট্রাকচার এবং ট্রাফিকের দিকটাও খতিয়ে দেখা হবে। এর পাশাপাশি দর্শনার্থীরা কীভাবে মন্দিরে আসছেন এবং কতটা সময় লাগছে, সেটাও দেখা হবে। এছাড়াও মন্দির সংলগ্ন পুরসভার যে খোলা জমিটি রয়েছে, সেটারও পরীক্ষানিরীক্ষা হবে। সেই জমি এই প্রকল্পে ব্যবহার করা হতে পারে। মন্দিরের আশপাশের অংশের ড্রোন ম্যাপিংও করা হবে। আর মন্দির সৌন্দর্যায়ন এবং সংস্কারের নানা কাজের জন্য এক কনসালট্যান্ট নিয়োগ করবে বিএমসি।

আরও পড়ুন-                   একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

আরও পড়ুন-                স্পষ্ট ‘বেবিবাম্প’! বিয়ের ১০ মাসেই ঘটা করে সাধ খেলেন মোহর, হবু মা-কে আলিঙ্গন দুর্নিবারের, রইল ছবি

ট্রাফিক সার্ভের মাধ্যমে মন্দির সংলগ্ন রাস্তা এবং ফুটপাথের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তা বা ফুটপাথের দখল অপসারণ হবে। ভবিষ্যতে যাতে আরও বেশি সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এছাড়া নিকটবর্তী রেল কিংবা মেট্রো স্টেশন থেকে যাতায়াতের মাধ্যমের দিকটাও খতিয়ে দেখবে কনসালট্যান্ট। আবার বিশেষ উৎসব-অনুষ্ঠান, ছুটির দিনে ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দিকটার উপরেও জোর দেওয়া হবে।

আবার নিরাপত্তার দিক থেকেও শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ মন্দির বেশ সংবেদনশীল। তাই সেদিকটার উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করার জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগ করতে গত ২৬ জানুয়ারি এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই)-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিএমসি।