বহরমপুর : স্কুলের টিফিনের সময় ছাত্রছাত্রীরা দাঁড়িয়ে ছিল বারান্দায় শুরু হয় বৃষ্টি। হঠাৎই বিকট আওয়াজে স্কুলের পাশে একটি মেহগনি গাছে বাজ পড়ে। আতঙ্কে প্রায় ৪০জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ডোমকল ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকেরা। বর্তমানে ২৯জন ছাত্রছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
একাদশ শ্রেনীর ছাত্র আবদুল আনসারি বলে, “টিফিন শুরুর কিছুক্ষন পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। আমরা সবাই বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। স্যাররা ক্লাসে ঢুকে যেতে বলছিল। আর তখনই স্কুলের মধ্যে একটি গাছে আগুনের গোলার মত বাজ পড়ে। আগুনের ঝলকানিতে চোখের সামনে সব যেন ঝলসে যায়। তারপরেই অসুস্থ বোধ করি। আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।”
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “খবর পাওয়া মাত্র আমি স্কুলে ছুটে আসি। অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মূলত আতঙ্কেই ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারন নেই।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা শাহ্ বলেন, “স্কুলের টিফিনের সময় সব ছাত্রছাত্রীরাই বাইরের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল। আমরা শিক্ষক শিক্ষিকরাও সকলেই বাইরে ছিলাম। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসরুমে ঢোকাচ্ছিলাম। তখনই স্কুলের বারান্দার সামনেই একটি গাছে বাজ পড়ে। গাছটি পুড়ে যায়। আতঙ্কে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। আমরাও আতঙ্কিত ছিলাম। তবে ঈশ্বর আমাদের প্রাণে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।”
ডোমকল সুপর স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত ছাত্রছাত্রী স্থিতিশীল রয়েছে। আতঙ্কে কিছুটা অসুস্থ হয়েছে। কয়েকজনের অক্সিজেন চলছে।স্কুলের টিফিনের সময় ছাত্রছাত্রীরা দাঁড়িয়ে ছিল বারান্দায় শুরু হয় বৃষ্টি। হঠাৎই বিকট আওয়াজে স্কুলের পাশে একটি মেহগনি গাছে বাজ পড়ে। আতঙ্কে প্রায় ৪০জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ডোমকল ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।