#মুম্বই: শেষ কয়েক বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির পেছনে যে কয়েকটা বড় কারণ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম নাম মুস্তাফিজুর রহমান। বুদ্ধিমান ফাস্ট বোলার বহু ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। জাতীয় দলের মিশন শেষ এবার আইপিএলের মাঠের লড়াইয়ে নামবেন মোস্তাফিজ। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। টাইগার ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চান ফিজ।
মোস্তাফিজ বলেন, আইপিএলে আমি আর সাকিব ভাই খেললে বাংলাদেশি সমর্থকরা দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। এবার যেহেতু সাকিব ভাই নেই তাই বাংলাদেশি দর্শকরা আমার দিকেই তাকিয়ে থাকবে। ওয়ানডে সিরিজে পুরো দলের মতোই দারুণ পারফর্ম করেছে পেস ডিপার্টমেন্ট। সিরিজ সেরা তাসকিনের পাশাপাশি শরিফুলও ছিলেন অনবদ্য।
Our latest arrivals are here to complete our PACE attack ?
Welcome to the DC Family ?#YehHaiNayiDilli #IPL2022 @Mustafiz90 @NgidiLungi pic.twitter.com/2XIqzatzZh
— Delhi Capitals (@DelhiCapitals) March 25, 2022
তবে কন্ডিশনটা নিজের শক্তিমত্তা অনুযায়ী না হওয়ায় বল হাতে ততটা সফল হননি মোস্তাফিজুর। তবে তাতে মোটেও আক্ষেপ নেই ফিজের। বরং দলের দুই সতীর্থ কে নিয়ে গর্বিত এই কাটার মাস্টার। মোস্তাফিজ বলেন, আমরা পেস বোলাররা সবসময় একটা ইউনিট হিসেবে থাকি। বোলিং করার সময় একজনের আইডিয়া আরেকজনের সাথে শেয়ার করি।
এ কারণেই মনে হয় আমাদের ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে মাথায় শুধুই আইপিএল ঘুরছে বাংলাদেশের এই পেস বোলারের। সানরাইজার্স হায়দারাবাদ তাকে রাখেনি। দু কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দলে দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার নখিয়া, ভারতের শার্দুল ঠাকুর রয়েছেন। মিচেল মার্শ মিডিয়াম পেস করতে পারেন। এর সঙ্গে মুস্তাফিজুর যোগ হলে দিল্লির ফাস্ট বোলিং বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী হবে।
২০১৬ সালে প্রথমবার আইপিএল খেলতে এসেই সফল হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। সেবার ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর পরে বেশ কিছু ম্যাচে মোস্তাফিজুর দুর্দান্ত বোলিং করেন। কিন্তু শেষবার আইপিএল খুব বেশি ভাল যায়নি তার। তবে এবার নতুন দলের সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মুস্তাফিজুর। দিল্লির ক্রিকেটারদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে চান।