কলকাতা: SUCI-এর ডাকে ডাকে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট হলেও অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক নবান্ন। শুক্রবার নবান্নে উপস্থিতির হার ৯৪% এরও বেশি। বিদ্যুৎ ভবন, বিকাশ ভবন-সহ বিভিন্ন দফতরে উপস্থিতির হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি। এমনই রিপোর্ট বিভিন্ন দফতর থেকে এসেছে নবান্নে। এ দিন অনুপস্থিত থাকলে শোকজ করা হবে বলে কড়া নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন।
আরজি কর কাণ্ডের পর গত ১৪ অগাস্ট রাত দখলের লড়াইয়ে কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে। এমার্জেন্সি বিভাগ,পুলিশ ব্যারাক বাদ পড়েনি মেডিসিন বিভাগ। এই নিন্দাজনক ঘটনায় ১৬ অগাস্ট বাম (SUCI) এবং বিজেপি যৌথভাবে বন্ধের ডাক দেয়। যদিও সেই বন্ধের প্রভাব কলকাতায় তেমন ভাবে পড়েনি। মেট্রো এবং বেসরকারি বাস পরিষেবাও স্বাভাবিক রয়েছে। দক্ষিণে শহরতলির ছবিও স্বাভাবিক। বারাসাতে খোলা স্কুল কলেজ, বন্ধের মধ্যে দিয়েই পড়ুয়া, অফিস যাত্রীরা পৌঁছচ্ছে নিজ নিজ গন্তব্যে।
তবে সরকারি বাসে দেখা গিয়েছে নিরাপত্তার ছবি, ড্রাইভার রীতিমতো হেলমেট পড়ে বাস চালাচ্ছেন। তিনি জানান, বনধ চলছে। তবে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক বনধ সম্পূর্ণ অমান্যের নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। তার পরও কিছুটা হলেও নিরাপত্তাহীন। তাই হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে SUCI ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্ধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া কোচবিহারে। বেসরকারি পরিবহন রাস্তায় সেভাবে না থাকলেও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার সরকারি বাস সকাল থেকেই সময় মতো চলছে। বনধকে কেন্দ্রে করে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। হেলমেট পড়ে NBSTC-র চালকরা বাস চালাচ্ছেন। বন্ধের সমর্থনে মিছিল বের করাকে কেন্দ্রে করে উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহারে। শহরের পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। আটক করে বনধ সমর্থনকারীদের।
আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের প্রতিবাদে ইউসিআই ১২ ঘণ্টার সারা বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে,আর তারই সমর্থনে শুক্রবার সকাল থেকেই জয়নগরের বহুড়ু মোড় ও দক্ষিণ বারাসত কুল্পী রোডের দু’জাগায় রাস্তা অবরোধ এসইউসিআই সমর্থকদের। SUCI-র ডাকা বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিলিগুড়িতে। বন্ধের সমর্থনে মিছিল শহরেও।