Mousuni Island: ত্রিপল চাপিয়ে নড়বড়ে বাঁধ বাঁচানোর চেষ্টা, নামখানার গ্রামে আতঙ্ক! বিপদ মৌসুনী দ্বীপেও

বিশ্বজিৎ হালদার, কাকদ্বীপ: পূর্ণিমার কোটালে নদীর জল বাড়তেই ধস নামল বাঁধে। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নামখানা ব্লকের অন্তর্গত দুর্গানগর গ্রামের বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, এই গ্রামের পাশ দিয়ে সপ্তমুখী নদীর শাখা বয়ে গিয়েছে। বুধবার বিকেলে জোয়ারের পর ভাটা শুরু হতেই প্রায় ৫০০ ফুটেরও বেশি নদী বাঁধে ধস নামে। এই ঘটনার পর থেকেই গ্রামের সব বাসিন্দারা আতঙ্কে মধ্যে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে যে ভাবে নদী বাঁধে ফাটল ফাটল দেখা দিয়েছে, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নদী বাঁধ ভাঙলে কয়েক শত বিঘা জমি নোনা জল ডুবে যাবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পানের বরজ থেকে শুরু করে বহু ঘর বাড়ি।

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, নদীতে জোয়ার হলে সবাই বাঁধের কাছাকাছি চলে আসেন। গ্রামবাসীরা সবাই মিলে এখন নদী বাঁধের উপর নজর রেখেছেন। বাঁধের ভাঙা অংশে ত্রিপল চাপিয়ে নদী বাঁধ বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন। যাতে নদীর জলে বাঁধের মাটি ভেসে না যায়৷

আরও পড়ুন: বেজে চলেছে মোবাইলের অ্যালার্ম, দরজা ভাঙতেই শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা! অশোকনগরে মর্মান্তিক কাণ্ড

অন্যদিকে, পূর্ণিমার কোটালে হঠাৎই নামখানার মৌসুনি দ্বীপের পয়লাঘেরিতে নদী বাঁধে ধস নামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পয়লাঘেরিতে চিনাই নদীর বাঁধে প্রায় ১০০ ফুট ধস নেমেছে। তবে এখনও পর্যন্ত নদী বাঁধ ভেঙে বা ছাপিয়ে গ্রামে নোনা জল ঢোকেনি।

কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা মানবেন্দ্র প্যায়ড়া বলেন, “গত প্রায় দু’মাস আগে ওই নদী বাঁধের কিছুটা অংশে ধস নেমেছিল। সেই সময় সেচ দফতরের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ভাবে নদী বাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু এর পরে আর ওই নদী বাঁধ মেরামত করা হয়নি। পূর্ণিমার কোটালে জলের চাপ থাকায় আবারও ওই নদী বাঁধে প্রায় ১০০ ফুট ধস নেমেছে। যদি এই কোটালে স্বাভাবিকের থেকে নদীর জল কিছুটা বাড়ে তাহলে গ্রামে নোনা জল ঢুকতে পারে। ওই নদী বাঁধের পাশাপাশি প্রচুর বাড়ি ও চাষের জমি রয়েছে। কোনওভাবে নোনা জল ঢুকে গেলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে।”