উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসতের কালীপুজোর জাঁকজমকের খ্যাতি রাজ্যজুড়ে। জেলা সদর লাগোয়া মধ্যমগ্রামেও বড় বাজেটের কালীপুজো রয়েছে বেশ কয়েকটি। ফলে পুজোর দিনগুলি লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল হয়ে যায় স্তব্ধ। আর তারই মাঝে দুর্ঘটনা এড়াতে, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে যশোর রোড এবং টাকি রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল জেলা প্রশাসনের তরফে। আগামী ৩১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে কালীপুজো। চলবে ৩ তারিখ পর্যন্ত। ওই দিন রাত ১২ টায় আলো বন্ধ হয়ে যাবে পুজোর। ফলে পুজোর ক’টা দিন মানুষের ভিড় সামাল দিতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগকারী ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যশোর রোড, টাকি রোড-সহ গুরুত্বপূর্ণ বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের বেশ কয়েকটি জায়গায় করা হবে নো এন্ট্রি।
ডাকবাংলো মোড় থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ময়না চেকপোস্ট পর্যন্ত বিকেল থেকেই সমস্ত ধরনের গাড়ি যাতায়াত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন জেলা পুলিশ কর্তারা। ফলে সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে হবে দূরপাল্লার যানবাহন থেকে যাত্রীদের। এরই পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদেরও দেওয়া হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। পুজো কমিটিগুলিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী-সহ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই নির্দেশ অমান্য করলে পুজো কমিটির বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে।
হাইকোর্টের গাইডলাইন মেনে পুজো প্যান্ডেল এবং প্রতিমার উচ্চতা বজায় রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয় পুজো কমিটিগুলিকে। ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বারাসাত এবং মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌর প্রধান-সহ বিভিন্ন জন প্রতিনিধি এবং পুজো উদ্যোক্তারা। পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানান, কলকাতার দুর্গাপুজোয় যেভাবে ট্রাফিক এবং ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট হয়ে থাকে, সেভাবেই এবার বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের কালীপুজো পরিচালনা করার চেষ্টা করা হবে।
রুদ্র নারায়ণ রায়