নিখোঁজ মেয়র কন্যা আরতি

Goa: গোয়ার মেডিটেশন সেন্টার থেকে ‘ভ্যানিশ’ মেয়রের মেয়ে, তারপর যা ঘটে গেল…! হতবাক সকলেই

গোয়াঃ বেশ কয়েকমাস ধরেই গোয়ায় থাকার পরে আচমকা ‘ভ্যানিশ’ হয়ে গেলেন নেপালের মেয়রের বড় মেয়ে। ৩৬ বছরের আরতিকে উদ্ধার করা হয়েছে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রায় দু’দিন পর উত্তর গোয়ার একটি হোটেল থেকে। তবে কে তাঁকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল বা তিনি নিজে সেখানে গিয়েছিলেন কিনা বা কার তাঁর সঙ্গে কারা ছিল, তার উত্তর এখনও পায়নি পুলিশ।

জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন মেয়র কন্যা আরতি। মেয়রের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়া পুলিশ তল্লাশি শুরু করে, তাতেই খোঁজ মেলে তাঁর। আরতির বাবা ধানগাধি সাব-মেট্রোপলিটন সিটির মেয়র গোপাল হামাল  জানিয়েছেন, তিনি মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানতে পারেন এক্স হ্যান্ডেলে মেয়ের বন্ধুর একটি পোস্ট থেকে। তিনি লিখেছিলেন, আরতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এরপরেই পরিবারের সকলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু বারে বারে চেষ্টার পরেও লাভ হয়নি, এরপরেই গোয়া পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। জানতে পারেন আরতিকে শেষবার দেখা গিয়েছে অশ্বীম বিচের কাছে।

আরও পড়ুনঃ সাত সকালে আচমকা আর্তনাদ-বিকট শব্দ! রক্তারক্তি কাণ্ড কলকাতা বিমানবন্দরে, হাড়হিম করা ঘটনা

গোপাল হামাল আরও জানিয়েছেন, বড় মেয়ে আরতি গোয়ার ‘অশো মেডিটেশন সেন্টারে’ থাকছিলেন বেশ কয়েকমাস ধরে। ওঁর এক বন্ধুর মেসেজে জানায় আরতির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় জোরবা বিচের কাছে সোমবার। এরপরেই আমি গোয়াবাসী এবং আমার পরিচিতদের কাছে মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানাই।”

ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই গোপাল হামালের ছোট মেয়ে আরজু এবং জামাই গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দু’দিনে বহু ফোন পেয়েছিন তাঁরা, মানুষ তাঁদের সাহায্য করেছেন, আমরা তাঁদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। ফেসবুকে আরজু জানতে পারেন এক অজ্ঞাতপরিচয়ের থেকে, তাঁর দিদিকে দেখা গিয়েছে সিওলিমের একটি ব্রিজের কাছে। কেউ জানিয়েছেন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কারণ তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন, কেউ আমার জানিয়েছেন তাঁকে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উদ্ধারের পর।