কল আছে জল নেই 

East Bardhaman News: তীব্র গরমেও জল নেই, জলের জ্বালায় ভুগছেন স্থানীয়রা 

পূর্ব বর্ধমান: ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এমনিতেই গরম শুরু হয়ে গিয়েছে। গরমের জ্বালায় ওষ্ঠাগত হচ্ছে প্রাণ। তাপমাত্রা যেন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এহেন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারাও জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু এই গরমের সময়ই ভয়াবহ ছবি উঠে আসছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অবস্থা এখন নাজেহাল। নাজেহাল অবস্থা শুধুমাত্র জলের কারণে। রীতিমত হাসফাঁস অবস্থা স্থানীয়দের। এখন শুধুমাত্র জল চাইছেন স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে কালনা ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিরা দাস বলেন, “একদমই জল নেই। জলই পাওয়া যাচ্ছে না। জলের সমস্যার জন্য বাইরে কল করা হল। কিন্তু এই তীব্র গরমেও এক বোতল খাওয়ার জল ও পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল থেকেই জল পাওয়া যাচ্ছে না দিনের কথা তো বাদ দিন। পৌরসভাকে জানিও কোনও স্টেপ নিচ্ছে না তাহলে কি করা যাবে।”

তীব্র গরমের মধ্যেও জলের জন্য নাজেহাল হচ্ছেন স্থানীয়রা। নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন ? হ্যাঁ ঘটনাটি অবাক হওয়ার মতই। কালনা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই টাইমকলের পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু কল থাকলেও জল নেই। স্থানীয়দের কথায় প্রত্যেক বছর গরমের সময় এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কল রয়েছে কিন্তু জল আসেনা। আবার অনেকেই জানান যে , জল এলেও সকালে মাত্র কয়েকঘণ্টর জন্য জল আসে। আর সকালে যে জল কল থেকে পড়ে তা না পড়ার সমান। তাই বর্তমানে সবমিলিয়ে এখন জলের জন্য ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন কালনার বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে কালনা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর সিং বলেন, “আমরা সকাল সাড়ে সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত এই দেড় ঘন্টা জল পাই। তাছাড়া সকালে যে জল আসে সেটা খুবই সরুভাবে জল পড়ে। পৌরসভা এর কারণে জলের ট্যাংকি দিয়ে গেছে। সেখান থেকে আমরা জল নিয়ে এসে বাড়ি নিয়ে যাই। এই সমস্যা আমাদের দুই থেকে আড়াই মাস লাগাতার চলবে। প্রত্যেক বছর আমাদের এই দুই থেকে আড়াই মাস জলদূর্ভোগ ভোগ করতে হয়। আমরা প্রয়োজনের জলটুকুনিও পাই না। রাস্তার কলের অবস্থাও খারাপ জল পড়ে না। “

আরও পড়ুন : উপকরণ সামান্য! স্বল্পমূল্যে এয়ারকুলার বানিয়ে তাক লাগালেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ

কালনার এই বেশকিছু ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা বাড়িতে কল থাকা সত্ত্বেও মিউনিসিপালিটি কলে জল পড়ে না। এমনকি রাস্তারও বেশ কিছু কলও অকেজো হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ১০০, ২০০ মিটার দূর থেকে হাতকলে জল তুলে নিয়ে এসে, বাড়ির জলের কাজ করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। স্থানীয়দের কথায় এই বিষয়ে দীর্ঘদিন পৌরসভাকে অভিযোগ জানিয়েও কোনওরকম এলাকায় পানীয় জলের উন্নতি হয়নি। এই প্রসঙ্গে কালনা পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনিল চৌধুরী বলেন, “আমি এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে প্রাণপণ চেষ্টা করছি । তারপরে এখন তীব্র দাবদাহ চলছে , জলস্তর এমনি নেমে গেছে। তাও আমি প্রাণপণ চেষ্টা করছি যাতে যে ওয়ার্ডগুলো জল পাচ্ছে না তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়। যখন প্রজেক্ট এর কাজ হয় তখন প্রজেক্ট এর লোকজন ঠিকভাবে কাজ করেনি যে কারণে বেশ কিছু ওয়ার্ডে এই সমস্যা হচ্ছে। “

আরও পড়ুন : পুড়ছে গোটা বাংলা, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস, চরম ভোগান্তি সকলের, তবুও চাষিদের কোনও কষ্ট হচ্ছে না! কারণটা কী?

কালনার যে সকল ওয়ার্ডে জলের সমস্যা হচ্ছে , বর্তমানে তারা খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তীব্র গরমেও তাদের জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। তবে যদিও কাউন্সিলর এর কাছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলেছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু এখন দেখার বিষয় কতদিনে এই সমস্যার সমাধান হয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী