রুফ-টপ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের দ্বারা আরও অধিক সবুজ শক্তি উৎপন্ন করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে

North Eastern Frontier Railways: কয়লার উপর নির্ভরতা কমিয়ে আরও সবুজ শক্তি উৎপাদনে অভিনব উদ্যোগ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের

কলকাতা : ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য অর্জন করতে ভারতীয় রেলওয়ের নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। ফসিল ইন্ধনের উপর নির্ভরতা আরও কম করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার সার্ভিস বিল্ডিং ও অন্যান্য স্থাপনাগুলিতে রুফ-টপ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের দ্বারা আরও অধিক সবুজ শক্তি উৎপন্ন করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে শক্তির চাহিদা পূরণ করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে ১.৪৫ মিলিয়ন ইউনিট শক্তি উৎপন্ন করা হয়েছে এবং এর ফলে সাশ্রয় হয়েছে ৯৭.৯ লক্ষ (আনুমানিক) টাকা। নন-ট্র্যাকশন শক্তি ব্যবহারের জন্য, উন্নত পাওয়ার ফ্যাক্টর, সময়মতে টাকা পরিশোধ করা হলে রেহাই ইত্যাদির জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৬৬.৭ লক্ষ (আনুমানিক) টাকাও সাশ্রয় করেছে।

‘গো গ্রিন’ অভিযানের অধীনে ২০২৪-এর জুন পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন স্টেশন ও অন্যান্য সার্ভিস বিল্ডিঙে ইতিমধ্যে স্থাপন করা রুফ টপ প্যানেলের মাধ্যমে ৬৭৬৪ কিলো ওয়াট পিক (কেডব্লিউপি) উৎপন্ন করা হয়েছে। নিজেদের ব্যবহারের জন্য কাটিহার, আলিপুরদুয়ার, রঙিয়া, লামডিং ও তিনসুকিয়া ডিভিশন যথাক্রমে ৬১০ কেডব্লিউপি, ৩৮১ কেডব্লিউপি, ১০৬৬ কেডব্লিউপি, ১০২০ কেডব্লিউপি এবং ১৯০ কেডব্লিউপি সৌর শক্তি উৎপন্ন করছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য কার্যালয় চত্বর এবং গুয়াহাটি সাব-ডিভিশনাল ইউনিট একত্রিতভাবে ১৪৯৭ কেডব্লিউপি উৎপন্ন ক্ষমতা স্থাপন করেছে। দু’টি ওয়ার্কশপ যথাক্রমে নিউ বঙাইগাঁও ও ডিব্রুগড়েও ১০০০ কেডব্লিউপি করে ক্ষমতা স্থাপন করা হয়েছে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের অসম ও ত্রিপুরার অন্তর্গত ২৪টি স্টেশন এবং অন্যান্য ফিল্ড অফিস বিল্ডিঙে সোলার রুফ টপ প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৬৪২ কেডব্লিউপি উৎপন্ন করেছে।

আরও পড়ুন : আমেরিকান মহিলাকে তাঁর প্রাক্তন স্বামীই মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে ফেলে গিয়েছেন চেনবন্দি অবস্থায়? ক্রমশ জটিল রহস্য

লামডিং ডিভিশনের উদয়পুর এবং রঙিয়া ডিভিশনের বামুনিগাঁও, আজারা, গহপুর, বরপেটা রোড, দুধনৈ ও কৃষ্ণাই ইত্যাদির মতো প্রধান স্টেশনগুলিতে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২১০০টি বিএলডিসি ফ্যান জোনের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে স্ট্যান্ডার্ড ইন্ডাকশন মোটোরের পরিবর্তে ব্রাশলেস মোটোর ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি সিলিং ফ্যানে ৩২ ওয়াট করে সাশ্রয় করা হয়েছে। এর ফলে ৬৭২০০ ওয়াট এবং ৮০৬ ইউনিট (আনুমানিক) শক্তির ব্যবহার সাশ্রয় করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সমস্ত সম্ভাব্য স্টেশন বিল্ডিং, সার্ভিস/অফিস বিল্ডিং, আবাসিক বিল্ডিং ও এলসি গেটগুলিতে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজেদের শক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সৌর শক্তির সর্বাধিক ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার ফলে স্টেশন ও অন্যান্য সার্ভিস বিল্ডিংগুলির দৈনন্দিন শক্তির শক্তির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। পরিবেশ অনুকূলের পাশাপাশি এর ফলে রেলওয়ের জন্য মূল্যবান খরচ ও দেশের জন্য বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করতে সহায়ক হবে।