#লন্ডন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর একমাত্র বাঙালি যিনি ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। লর্ডসে সৌরভের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল, সেখানেই শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন চাকদহ এক্সপ্রেস। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই তিন ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল ঝুলনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ ম্যাচটিও কাকতালীয়ভাবে খেলছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই।
এদিন মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি জানান, চলতি বছর বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজই আমার শেষ সিরিজ হবে বলে মনে হচ্ছিল। বিশ্বকাপ চলাকালীন চোট পাই। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ফিট হতে পারিনি। আগামী বছর টি ২০ বিশ্বকাপের আগে এটাই শেষ ওয়ান ডে সিরিজ। এই সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে রিহ্যাবের জন্য বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমিতে যাই।
তারপর ইংল্যান্ডে শেষ সিরিজ খেলতে আসা। অঞ্জুম চোপড়ার কাছ থেকে দেশের প্রথম ক্যাপ পাওয়া, দেশের হয়ে প্রথম বোলিং করা সেরা স্মৃতি। অবশ্য এটা যে কারও ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ১৯৯৭ সালে ইডেনে মহিলাদের বিশ্বকাপ চলাকালীন বল গার্ল ছিলাম। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ফাইনাল খেলেছিল। সেদিনই দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।
আরও পড়ুন – যুবরাজের বাবার কাছে চলছে বিশেষ ক্লাস! নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত সচিন পুত্র অর্জুন
২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে অভিষেক। জোরে বল করাই লক্ষ্য ছিল। আগামী বছর থেকে মেয়েদের আইপিএল শুরু হবে। ঝুলন সেই টুর্নামেন্টে খেলতে পারেন। তবে আজ তিনি বলেন, মহিলাদের আইপিএল ঘোষণার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগত ট্রেনে কলকাতায় আসতে। বাড়ি ফিরে পরদিন ফের আসতে হত।
Everything is going to be for jhulu di???? https://t.co/6FppjigZRH
— Smriti Mandhana (@mandhana_smriti) September 23, 2022
এতটাই কষ্ট করেছেন শুধু দেশের জার্সি গায়ে দেবেন বলে। একটা সময় আর্থিক অবস্থা খুব ভাল ছিল না। কিন্তু নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি। ঝুলন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ক্রিকেটে সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছবেন তিনি। জীবনের কিছুটা আক্ষেপ থেকে যাবে বিশ্বকাপ জিততে না পারায়। দুটি ফাইনাল খেলে দুটিতেই রানার্স আপ। তবে ভারতের জার্সি গায়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া মৃত্যু পর্যন্ত মনে রাখবেন বাংলার মেয়ে।