আপকার গার্ডেনের এই দলীয় কার্যালয়ে বারবার এসেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

West Bardhaman News : বিলাসবহুল গেস্ট হাউস নয়, প্রথম পছন্দ ছিল দলীয় কার্যালয়! বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতি হাতড়াচ্ছে আসানসোল

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : দুপুর দুটো নাগাদ বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে শেষবারের মতো বের করে আনা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কমরেডকে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহল যেমন শোকস্তব্ধ, আজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের  স্মৃতি খুঁজছে আসানসোলের আপকার গার্ডেনের বামেদের দলীয় কার্যালয়।

বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ তিনি প্রয়াত হন।

দু’ কামরার ছোট্ট ফ্লাট৷ নিজে যে ঘরে থাকতেন, সেটি আরও ছোট৷ মেঝে ছিল স্যাঁতস্যাঁতে৷ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন যে সিওপিডি-র সমস্যা থাকায় ওই স্যাঁতস্যাঁতে ঘর তাঁর জন্য ঠিক নয়৷ যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চিকিৎসকদের সেই পরামর্শ কানে তোলেননি৷ আজীবন পাম অ্যাভিনিউয়ের যে দু কামরার ফ্ল্যাটে কাটিয়েছেন, সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্যত্র যেতে রাজি হননি তিনি৷ শুধু শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবেও পাম অ্যাভিনিউয়ের ওই ফ্ল্যাট ছাড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বুদ্ধদেবকে৷ তখনও রাজি হননি তিনি৷

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি একাধিকবার এসেছেন আসানসোলে। পুলিশ মন্ত্রী থাকাকালীনও তিনি শহরে এসে নামি কোনও গেস্ট হাউসে থাকতে চাননি। তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল আপকার গার্ডেনের দলীয় কার্যালয়। সেখানেই জড়িয়ে রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বহু স্মৃতি।

আসানসোল শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে বাম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রীর। ইসকো কারখানার আধুনিকীকরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাই রাজ্যের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নানান স্মৃতি ঘুরছে আসানসোলের আনাচে-কানাচে। বিশেষ করে এমন একটা দিনে ব্যাপকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছে আপকার গার্ডেনে বিজয় পাল নামাঙ্কিত বামেদের দলীয় কার্যালয়টি।