বুদ্ধদেবের প্রয়াণে কী হল জিতু কমলের!

Buddhadeb Bhattacharya Demise: ‘সিপিআইএম-এ রইলাম না আর’, বুদ্ধদেবের প্রয়াণে কী হল জিতু কমলের! পোস্ট ঘিরে তুমুল চর্চা

কলকাতা: প্রয়াত হলেন বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ বৃহস্পতিবার সকালে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে বুদ্ধদেবের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পড়েছে রাজনৈতিক থেকে বিনোদন জগতে৷

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তিরা শোকপ্রকাশ করেছেন৷ পাশাপাশি টলিউডের তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন৷ তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পর আচমকা কী হল জিতু কমলের৷ জিতুর ফেসবুক পোস্ট দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন অনুরাগীরা৷

আরও পড়ুন:   ‘আমার বিয়েতে এসেছিলেন, আজ খুব মনে পড়ছে সেদিনটা…’, বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন ঋতুপর্ণা

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জিতু লেখেন-হিড়িক পড়েছে ছবি দিয়ে ব্যতিক্রমী পোস্ট করার, হিড়িক পড়েছে শ্রদ্ধার ঝুলি খুলে দিয়ে রাজপথে ফুল ঝরানোর, হিড়িক পড়েছে ওর সাথে জড়িত সমস্ত সুখ স্মৃতি উজাড় করার, হিড়িক পড়েছে কমরেড বলে একে অপরকে সম্মোধন জানানোর। আজ থেকে আর কমরেড বলে আমায় নাইবা ডাকলেন। আর যদি ডেকেও ফেলেন, দয়া করে একটি বারের জন্য অনুমতি চাইবেন। সিপিআইএম রইলাম না আর, বুদ্ধপন্থী বলে রইলো আমার পরিচয়। সুবিধা অসুবিধা কোন কিছুই কিন্তু নিইনি কোনদিন। তাই পল্টিবাজ ধাপ্পাবাজ চিটিংবাজ ভাষাজ্ঞান শূন্য মন্তব্য নাইবা করলেন সিপিআইএম। আমার বন্ধু-আমার পথপ্রদর্শক-আমার ঈশ্বর বিদায়। বিদায় বন্ধু বিদায়… পরপারে স্লেট হাতে আবার যাব, পিছু পিছু তোমার।

আরও পড়ুন:   দু কামরার ফ্ল্যাট, অ্যাম্বাসাডর আর ধুতি- পাঞ্জাবি৷ বুদ্ধদেব বরাবরই ব্যতিক্রমী

অভিনেতার এই পোস্ট ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ৷গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান। অবশেষে আর শেষরক্ষা হল না, সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বুদ্ধবাবু৷