এই প্রক্রিয়া দুধকে নিরাপদ করে তোলে

Pasteurized Milk Benefits: Pasteurized Milk মানে কী? কেন এই বিশেষ দুধ খাবেন? এই বিশেষ দুধ খেলে কী হয়? জানুন বিশদে

বাজার থেকে যে দুধের প্যাকেট কেনা হয়, সেই প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে Pasteurized Milk। এটা আমরা কমবেশি সকলেই লক্ষ্য করে থাকি। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন এর অর্থ। পাস্তুরাইজড দুধ আসলে কী এবং কীভাবেই বা দুধকে পাস্তুরাইজড করা হয়? এই প্রসঙ্গে কথা বলছেন গয়া জেলার খাদ্য পরিদর্শক মুকেশ কাশ্যপ। তাঁর বক্তব্য, দুধকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্ত করার জন্যই মূলত দুধের পাস্তুরাইজেশন করা হয়। এই প্রক্রিয়া দুধকে নিরাপদ করে তোলে। সেই সঙ্গে এর মধ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস নির্মূলও করে।

খাদ্য পরিদর্শক মুকেশ কাশ্যপ বলেন যে, ভারতে পশুদের মধ্যে ব্যাপক পরিমাণে টিবি ও বসন্তরোগ দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত যে কোনও পশুর মাংস এবং দুধে সংশ্লিষ্ট ভাইরাস পাওয়া যায়। আর এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। আর সেই কারণেই যে ডেয়ারিতেই দুধ আসুক না কেন, সেখানেই এই পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তারপরেই দুধ বাজারে ছাড়া হয়। অর্থাৎ ডেয়ারিগুলিতে পাস্তুরাইজেশন না হলে দুধ বাজারে ছাড়া যায় না। পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়ার সময় দুধ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দুধকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করা হয়। এরপরে সেই দুধকে মাইনাস ৪ (-৪) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেখে ঠান্ডা করা হয়।

আরও পড়ুন : এই মাসে গৃহপ্রবেশ কবে করা যাবে? নামকরণের জন্য শুভদিনই বা কবে? জানুন জ্যোতিষী কী বলছেন

পাস্তুরাইজেশনের ফলে অনেক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় বলে জানান মুকেশ কাশ্যপ। তাঁর বক্তব্য, ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও টিবি ও পক্সের ব্যাকটেরিয়াকে একেবারে মারা যায় না। তাই দুধকে গরম এবং ঠান্ডা করে ব্যাকটেরিয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়। পাস্তুরাইজড দুধ অসুস্থ মানুষের জন্য খুবই উপকারী। মুকেশ কাশ্যপের কথায়, পাস্তুরাইজেশনের ফলে দুধে উপস্থিত সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া, ইকোলাই, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। আর পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়া দুধে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও কমায় এবং দুধের শেলফ-লাইফও বাড়িয়ে দেয়।