দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র কুলতলি। ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতার কাঁটা পুকুর মর্গে, সঙ্গে রয়েছেন পুলিশ কর্মী এবং পরিবারের সদস্য। মর্গের দিকেই রওনা দিয়েছেন বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতিনিধিরা।
এলাকায় বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল এবং সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল গেলে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই সময় বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে একযোগে বিক্ষোভ দেখান বাম এবং বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালের মর্গের সামনে বিক্ষোভে একসঙ্গে দেখা যায় কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্র পালকে। ছাত্রীর দেহ সংরক্ষণের দাবি করেন অগ্নিমিত্র পাল।
আরও পড়ুন: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! লাইন থেকে ছিটকে গেল তিনটি কামরা, এলাকায় বিরাট চাঞ্চল্য
প্রসঙ্গত, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে কুলতলি থানার কৃপাখালী হালদার পাড়ার মোড় এলাকা দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ক্যাম্প ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যান চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পরেও তার খোঁজ মেলেনি। জয়নগর থানার পুলিশকে খবর দিলে ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত নেমে সন্দেহভাজন মুস্তাকিন সরদার এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবককে দফায় দফায় জেরা করার পর খুনের কথা স্বীকার করে।
শুক্রবার গভীর রাতে, কৃপাখালি এলাকায় একটি জলাজমি থেকে নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে।