পাড়া প্রতিবেশী থেকে বন্ধু বান্ধব অনেকেই বলতে শোনা যায়, ‘তোমার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে’। ছেলে কিংবা মেয়ে অনেককে কোন না কোন সময় এমন কথা শুনতে হয়।তবে কি নারী কিংবা পুরুষের বিয়ের আসলেই কি নির্দিষ্ট বয়স আছে! তবে যদি থাকে বয়সটি কেমন হওয়া দরকার! শুধুমাত্র বয়স নয় বয়সের পাশাপাশি আরও কিছু দিক মাথায় রাখা প্রয়োজন।দেশের আইন অনুযায়ী, নারীর বিয়ের ন্যূনতম বয়স আঠারো ও পুরুষের একুশ। তবে পড়ালেখার পাট চুকিয়ে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করতে আরও কিছু সময় দরকার হয়।বিয়ের জন্য বয়সের পাশাপাশি মানসিক ও আর্থিক বিষয়গুলোও সরাসরি সম্পর্কিত। পঁচিশ বছর বয়সের মধ্যে ব্যক্তি হিসেবে নিজের স্বকীয়তা বা আলাদা একটি অবস্থান তৈরি হয়। সেজন্য অনেকেই মনে করেন বিয়ের ন্যূনতম বয়স হওয়া উচিত পঁচিশ বছর।আবার খুব বেশি বয়সে বিয়ে করাটাও নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই নেতিবাচক হতে পারে। ত্রিশ বছর বয়স থেকেই নারীর মা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে। আবার পুরুষের ক্ষেত্রে চল্লিশ বছর বয়স থেকে বাবা হওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকে।তবে বয়স যতই হোক, থাকতে হবে পরিণত বোধ। নারী ও পুরুষ উভয়েরই সাংসারিক দায়িত্ব পালন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার সক্ষমতা থাকতে হবে। ন্যূনতম আর্থিক যোগ্যতা অর্জনের পর বিয়ে করা উচিত।
