মালদহ: চরম বিপদসীমা ছুঁইছে গঙ্গার জলস্তর। ইতিমধ্যে বাঁধ ভেঙে গঙ্গার জলে প্লাবিত মালদহের মানিকচক থানার ভূতনির একাধিক গ্রাম। হু হু করে গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে গঙ্গা নদীর জল। একের পর এক গ্রাম জলের তলায় চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষদের নিরাপত আশ্রয়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ফ্ল্যাট সেন্টার। মালদহের মানিকচক ব্লকে মোট ছয়টি ফ্লাট সেন্টার রয়েছে।
বন্যা দুর্গতদের ইতিমধ্যে সেগুলিতে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকাগুলির জন্য প্রায় ২০০০ পলিথিন পাঠানো হয়েছে। সেগুলির সাহায্যে ছাউনি তৈরি করে থাকতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বন্যা কবলিতদের জন্য ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। কোথাও কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত সেখান থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স গুলি তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়াও মানিকচক ব্লকের বন্যা কবলিত এলাকাগুলির জন্য খোলা হয়েছে ১১ টি রিলিফ সেন্টার।
আরও পড়ুন:গাছ লাগানোই নেশা! বড় সম্মান দুই পড়ুয়ার! ডাক পেলেন দিল্লিতে
বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে মোবাইল হেল্প ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, গঙ্গার বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মানিকচক ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। এই বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত দফতরের কর্তা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়ে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে গঙ্গা নদীর জলস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে মানিকচকে গঙ্গা নদীর জল স্তরে রয়েছে ২৫. ০৬ মিটার। যা চরম বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। তবে বর্তমানে গঙ্গার জল বৃদ্ধির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আপাতত জলস্তর স্থির রয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
হরষিত সিংহ