কুক দ্বীপপুঞ্জে, যা নিউজিল্যান্ডের কাছাকাছি ১৫ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত৷ কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান হোক বা যে কোনও আনন্দের দিন- সেখানকার মহিলারা প্রতিটি বিশেষ অনুষ্ঠানে নারকেল দিয়ে তৈরি ব্রা পরেন। এই ধরনের পোশাক এখানে বহু শতাব্দী ধরে পরা হচ্ছে।
ধারণা হাওয়াই থেকে এসেছে
নারকেল থেকে অন্তর্বাস তৈরির ধারণা কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে অনেক মতামত রয়েছে। কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপ থেকে নারকেল থেকে অন্তর্বাস তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। যেহেতু হাওয়াই একটি উপকূলীয় এলাকা, তাই সেখানে প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ জন্মায়৷
নারকেল থেকে তৈরি মহিলাদের অন্তর্বাসের পাশাপাশি, পুরুষদের অন্তর্বাসও অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটগুলিতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মানুষও তাদের পছন্দ করছে। এই অন্তর্বাসগুলির দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।
রিসার্চগেট ওয়েবসাইট অনুসারে, শুকনো নারকেলের দ্রবণে সক্রিয় কার্বন থাকে। এটি থেকে কোকোনা নামে একটি প্রাকৃতিক কাপড় তৈরি করা হয়। এই ফ্যাব্রিকটি ব্যাকটেরিয়ারোধী যা ইন্দোনেশিয়ার নারকেল শিল্প থেকে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হয়৷
ফ্যাশন দূষণ রোধে এখন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে নারকেল বর্জ্য থেকে পিরিয়ডস প্যান্টিও তৈরি করা হচ্ছে। নারকেল ফ্যাব্রিক থেকে তৈরি পিরিয়ড প্যান্টিগুলি ফুটো প্রতিরোধী, ত্বক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত। এগুলোও ধুয়ে আবার ব্যবহার করা হয়।
নারকেল ফাইবার থেকে তৈরি কাপড় দ্রুত আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘামের গন্ধ দূর করে। এছাড়াও এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এতে ট্যানিং বা রোদে পোড়া হয় না। এটি থেকে তৈরি পোশাকও গরমের মরশুমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
মানুষের মধ্যে নারকেল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (এপিসিসি) ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ বিশ্ব নারকেল দিবস শুরু করে। এর চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের উপকার করার জন্য, এই দিনটি ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, কেনিয়া এবং ভিয়েতনামে অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়।