Pitcher Plants: মশা, ব্যাঙ, ইঁদুর দেখলেই গপ করে গিলে ফেলে এই মাংসাশী গাছ! ঘরে রাখলে কী হবে জানেন?

শিলিগুড়ি: বাড়িতে ঘর সাজাতে ইনডোর প্লান্ট এখন প্রায় সকলেই লাগিয়ে থাকেন। ঘর সাজানোর জন্য ইনডোর প্ল্যান্টের জুড়ি মেলা ভার। বারান্দায় হোক কিংবা বাড়ির ছাদ বাগান এমনকি ঘরের গাছের পরিচর্যা করতে যাবেন, অমনি মশার কামড় খেলেন। মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব এখন খুবই বেশি। তাই মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া দরকার। তাই ঘর সাজাতে তথা মশা বা পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে বাড়িতে লাগাতে পারেন এই মাংসাশী উদ্ভিদ। ভাবছেন উদ্ভিদ আবার মাংসাশী সে কি করে সম্ভব? ছোটবেলায় জীবন বিজ্ঞান বইতে কলসপত্রী উদ্ভিদের নাম শুনেছিলেন নিশ্চয়ই। যার ইংরেজি নাম পিচার প্লান্ট। তবে এই হাইব্রিড কলসপত্রী গুলি মানুষ খেকো নয় ছোট ছোট পোকামাকড় খেয়ে নিতে পারে।

কলসপত্রী উদ্ভিদে ফাঁপা বিশেষ ধরনের পাতা রয়েছে যা একটি জগ কিংবা কলসির মত জল ধারণ করে রাখতে পারে। কলসির মত দেখতে এ পাতাগুলোই শিকার ধরার ফাঁদ হিসেবে কাজ করে। এদের গঠন ও আকৃতি থেকেই এদেরকে নাম দেওয়া হয়েছে কলস পত্রী উদ্ভিদ। প্রাণী শিকার করার জন্য এই গাছটি মাংসাশী উদ্ভিদ নামে পরিচিত। এদের মধ্যে ছোট আকারের কলস পত্রীগুলো মশা, মাছি, প্রজাপতি, পিঁপড়া ইত্যাদির মত ছোট ছোট পোকামাকড় শিকার করে এবং বড় আকারের কলস পত্রীগুলো আকারে ছোট ব্যাঙ, ইঁদুর এর মত প্রাণী শিকার করে।

আরও পড়ুন:  কম বয়সেই পাকা চুল? ভুলেও রং করবেন না! এই ৫ উপায়ে নিমেষে কালো হবে চুল! জানুন

সব কলস পত্রী উদ্ভিদের শিকার করার পদ্ধিতি একই রকম। এরা ফাঁদ পাতার মাধ্যমে কোন নাড়াচড়া ছাড়াই শিকার করে। গার্ডেনিয়ার দেবরাজ সরকার বলেন, “থাইল্যান্ড থেকে বিশেষ প্রজাতির হাইব্রিড পিচার প্লান্ট তিনি এনেছিলেন। এগুলি ঘর সাজানোর জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “এর থেকে বড় যেই পিচার প্লান্টগুলি রয়েছে সেগুলি বিক্রি করা যায় না। গাছটির মাথা কলসির মতো সেখানে পোকামাকড় বসলেই সেই কলসির মুখ আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। এভাবেই এই উদ্ভিদ নিজের পুষ্টি সংগ্রহ করে থাকে। এই গাছ ঘরে থাকলে পোকামাকড় উপদ্রব কম হয়।”

অনির্বাণ রায়