প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

PM Modi At Rising Bharat Summit 2024 : ‘২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে আমি এখানেই ছিলাম… এরপরেই বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারত’; রাইজিং ভারত সামিটে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লিঃ সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নেটওয়ার্ক ১৮ রাইজিং ভারত সামিট ২০২৪-এর চতুর্থ সংস্করণ। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ওই শীর্ষ সম্মেলনে বুধবার মূল বক্তব্য রেখেছেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ওই দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রায় পাঁচ বছর আগের কনক্লেভের দিনগুলির স্মৃতিচারণ করেন তিনি। তারপরেই ঘটে যাওয়া একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথাও মনে পড়েছে তাঁর।

সদ্য শেষ হওয়া দুই দিনব্যাপী নেটওয়ার্ক ১৮ রাইজিং ভারত সামিট ২০২৪-এ যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতি, শিল্পকলা, কর্পোরেট দুনিয়া, বিনোদন এবং ক্রীড়া দুনিয়ার নামীদামি ব্যক্তিত্বরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি এই শীর্ষ সম্মেলনেই ছিলাম। সেবারের পরিবেশও এরকমই ছিল। শান্ত ভাবে সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সেরে আমি বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর রাতে বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত।”

আরও পড়ুনঃ ‘নতুন ভারত সন্ত্রাসের ক্ষতকে সহ্য করে না’, রাইজিং ভারতে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামার জঙ্গি হানায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ওই হামলার বলি হয়েছিলেন প্রায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) জওয়ান। সেই জঙ্গি হামলার জবাব দেওয়ার জন্যই ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটের জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আঘাত হেনেছিল ভারতের যুদ্ধবিমান।

সেই প্রসঙ্গ ধরেই শীর্ষ সম্মেলনে মোদি বলেন, “সে জঙ্গিদের মূলচক্রীই হোক কিংবা শান্তি ও উন্নয়ন চাওয়া দেশই হোক, প্রত্যেকেই ‘রাইজিং ভারত’-এর বিষয়টা অনুভব করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এই নতুন ভারত কিন্তু জঙ্গি হামলার ক্ষত নীরবে হজম করবে না। এর পরিবর্তে বরং আক্রমণকারীদের অবিস্মরণীয় শিক্ষা দিতে নিজের সমস্ত শক্তিকে ব্যবহার করবে।”

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “যারা আমাদের উপর সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের অবস্থা আজ এই দেশ তথা সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। একটি নিরাপদ বা সুরক্ষিত দেশই উন্নত বা বিকশিত দেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। আর আজ এটাই ভারতের পরিচয় এবং এটাই হল রাইজিং ভারত।”

রাইজিং ভারত শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আবার ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ বা ‘অতুল্য ভারত’-এর বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন জি২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ‘নয়া ভারত, উভরতা ভারত’ প্রসঙ্গে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি সকলের সামনে মেলে ধরেন।

আর ওই শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল নীতিন গড়করি, অশ্বিনী বৈষ্ণো এবং স্মৃতি ইরানিকে। ওই দিন আধ্যাত্মিকতার উপর নিজেদের মতামত পেশ করেছেন অযোধ্যা রাম মন্দিরের স্থপতি আশিস সোমপুরা এবং ঐতিহাসিক তথা রাম লাল্লার বিগ্রহের জ্যুয়েলারি ডিজাইনার যতিন্দর মিশ্র।