পটল চাষ

Bankura News: ভয়ে ভয়ে শেষবেলায় পটল চাষ বাঁকুড়ায়, মাথায় ঝুলছে বৃষ্টির খাঁড়া 

বাঁকুড়া : বর্ষার চাষ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। চাষ বাস বড়ই কঠিন কাজ, বিশেষ করে বাঁকুড়ার মত জায়গায় যেখানে মাটির প্রকৃতি চাষের উপযোগী নয়। চলতি বছরের ভয়ানক গরমে ইতিমধ্যেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষিরা। নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন ফসল যেমন আলু এবং বেগুন। আবার অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখীতেও প্রভাব পড়েছে ফসলের ওপরে যেমন তরমুজ, তিল ইত্যাদি। সেই কারণেই এবার মাচা তৈরি করে পটল চাষ করে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে চাইছেন কৃষকরা। যদিও মাথার ওপরে ঝুলছে দুর্যোগ কিংবা কালবৈশাখীর খাঁড়া।

পটল চাষের মাচা তৈরি করা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন চাষের উপযোগী জায়গা বাকি,সেন্দ্রা। এই এলাকাতেই প্রায় এক বিঘা জমিতে বুকে ভয় নিয়ে পটল চাষ করছেন লালটু শিট।পটল চাষে বেশি তাপমাত্রা ও সূর্যালোকের প্রয়োজন। ভারতের আবহাওয়া অনুসারে অক্টোবর থেকে নভেম্বর অথবা ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পটলের চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত সময়। পটল বেশ খরা সহিষ্ণু। জল নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন উঁচু জমি এবং বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটি পটলের চাষাবাদের জন্য উপযোগী।

আরও পড়ুন : জেলির মত দেখতে, দুর্দান্ত এই ফল দেদার বিক্রি হচ্ছে বাঁকুড়ায়

তবে বাঁকুড়ায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই বর্ষার মুখে শুরু করা হল এই চাষ। চলতি বছরে অন্যান্য ফসল চাষ করে যে ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের সেটাই পুষিয়ে নিতে একপ্রকার ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে শুরু হয়েছে পটল চাষ। তবে প্রয়োজনীয় রোদের দেখা নেই। আকাশ ঢেকে আছে মেঘে। কখনও হচ্ছে বৃষ্টি।চাষিদের লভ্যাংশের অনেকটাই চলে যায় মধ্যস্থতার পর্যায়ে থাকা ব্যবসায়ীদের হাতে।

আরও পড়ুন : ভিটামিনের ‘পাওয়ার হাউস’! এই ৩ সবজি রোজ খেলেই হাড় হবে মজবুত, রোগমুক্ত হবে শরীর

বাজারে পৌঁছনোর আগে একাধিক স্তরের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মাঠের ফসলকে, সেই কারণে সাধারণ মানুষের জন্যেও দাম বেড়ে হয় সাধ্যের বাইরে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাঁকুড়ার গ্রাম বাংলার কৃষকদের প্রকৃতি যেন কোনও ভাবেই সঙ্গ দেয় না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তীব্র গরম, অসময়ে ঝড় বৃষ্টি এবং দেরিতে প্রত্যাশিত বৃষ্টির কারণে যেন এলমেল হয়ে যায় সবকিছু।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী