দেশ Kerala Couple Youtuber: রান্নার ভিডিওই এনে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা, কেরলে ইউটিউবার দম্পতির রহস্যমৃত্যু! বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ Gallery October 28, 2024 Bangla Digital Desk ইউটিউবার দম্পতির রহস্যমৃত্যু! কেরলের পারাসালার চেরুভারাকোনামের বাড়ি থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মালয়ালাম সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতরা হলেন, প্রিয়া (৩৭) এবং তাঁর স্বামী সেলভারাজ (৪৫)। দু’জনে আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। জানা গিয়েছে, প্রিয়া এবং সেলভারাজ ‘সেল্লু ফ্যামিলি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন। তাঁদের চ্যানেলে প্রায় ১৯ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। রয়েছে দশ হাজারের বেশি ভিডিও। বেশিরভাগ ভিডিওই রান্নার। দক্ষিণের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রিয়া এবং সেলভারাজ। সেটাই তাঁদের শেষ ভিডিও। ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি দম্পতির বিভিন্ন সময়ের ছবি দিয়ে সাজানো। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে “বিদা পরায়ুকায়ানেন জন্মম” গান। এই গান বিদায়ের গান। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গানের মাধ্যমেই নিজেদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রিয়া এবং সেলভারাজ। পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে এরনাকুলামে থাকেন। পেশায় হোম নার্সিং ট্রেনি। শুক্রবার রাতে শেষবার মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। শনিবার সকালে ফোন করলে আর কেউ ধরেনি। সন্দেহ হয় ছেলের। শনিবার রাতেই মা-বাবাকে দেখতে চেরুভারাকোনামে ফেরেন তিনি। বাড়িতে ঢুকে দেখেন, মা-বাবার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। বিছানায় শায়িত প্রিয়ার দেহ। সিলিং থেকে ঝুলছে সেলভারাজের দেহ। দক্ষিণী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সেলভারাজ পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। হাতেগোনা কয়েকজনের সঙ্গে মিশতেন। প্রিয়া কুদুম্বশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁরা পারাসালায় চলে আসেন। গত বছর মেয়ের বিয়ে দেন। তারপর থেকেই অর্থকষ্টে ভুগছিলেন ওই দম্পতি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রিয়া এবং সেলভারাজ কিছুটা মুখচোরা ছিলেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। কথাবার্তা হত সামান্যই। দক্ষিণী সংবাদমাধ্যমকে মৃত দম্পতির এক প্রতিবেশী বলেছেন, “বাড়িতে প্রিয়ার মা আর তাঁদের ছেলেমেয়েরা ছাড়া আর কেউ আসত না। কোনও অতিথিকেও আসতে দেখিনি। মেয়ের বিয়েতে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছিল। সবাই গিয়েছিলাম। তবে কথাটথা বিশেষ হয়নি।” দম্পতির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আপাতদৃষ্টিতে আত্মহত্যা মনে হলেও এর পিছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে। ঘটনা নিয়ে উদবেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা আদৌ আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁদের শেষ ভিডিওটিও বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।