পাঁচমিশালি Postmortem: ময়না একটা পাখি, অথচ পোস্টমর্টেমকে বাংলায় বলে ময়নাতদন্ত, কারণটা জানলে চমকে উঠবেন Gallery October 14, 2024 Bangla Digital Desk অস্বাভাবিকভাবে অথবা কোনও অজানা কারণে মৃত্যু হলে, মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে পোস্টমর্টেম করে থাকেন চিকিৎকরা। দেশের আইন অনুযায়ী, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ফৌজদারি তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় নির্দেশে মৃতের ময়নাতদন্ত করা হয়। কেবলমাত্র সরকারি মেডিক্যাল কলেজ তথা পুলিশ মর্গেই ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত হল মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য মৃতদেহের একটি বিশেষ মেডিক্যাল পরীক্ষা। ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকেন ফরেন্সিক মেডিসিনের ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসা হয়। এবার প্রশ্ন হল, পোস্টমর্টেমকে বাংলায় কেন ময়নাতদন্ত বলে? পোস্টমর্টেমের সঙ্গে ময়না পাখির যোগ কোথায়? ময়না পাখির রং কুচকুচে কালো, ঠোঁটদুটো হলুদ, তিন থেকে তেরো রকম ভিন্ন স্বরে ডাকতে পারে ময়না। অন্ধকারের কালোয় ময়না নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে, তাই অন্ধকারে খালি চোখে ময়নাকে দেখা যায় না । শুধুমাত্র অভিজ্ঞ মানুষ-ই অন্ধকারের মধ্যে ময়নার ডাক শুনে বুঝতে পারেন, পাখিটি ময়না। না দেখা ময়নাকে যেমন অন্ধকারে শুধু কণ্ঠস্বর শুনে আবিষ্কার করেন অভিজ্ঞ, তেমনই পোস্টমর্টেমেও অন্ধকারে থাকা কারণকে সামান্য সূত্র দিয়ে আবিষ্কার করা হয়, উন্মোচিত হয় বড় রহস্য। পাওয়া যায় কোনও রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক কারণ। বোঝা যায়, কীভাবে মৃত্যুটি ঘটেছিল! অন্ধকারে ময়না পাখিকে শুধুমাত্র ডাক শুনে খুঁজে পাওয়া আর সম্পূর্ণ অন্ধকার থেকে সামান্য কিছু সূত্রের সাহায্যে একটা মৃত্যুর সঠিক কারণ বার করার মধ্যে মিল রয়েছে, সেই থেকেই পোস্টমর্টেমকে বাংলায় বলে ময়নাতদন্ত। কয়েকটি বিশেষ কারণে ময়নাতদন্ত করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল— মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রতিষ্ঠা, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ, সময় ও পদ্ধতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া।