দক্ষিণবঙ্গ: আগুন দাম আলুর। আলুসিদ্ধ ভাত খেতে গেলেও এখন চিন্তা করতে হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে জেরে এক লাফে আলুর দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়ে গেল। বাজারে আলু কিনতে গিয়ে কপালে ভাঁজ আমবাঙালির।
শনিবার কেজি প্রতি আলুর দাম যেখানে ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা, মঙ্গলবার সেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে। বর্ধমান শহরের সব সবজি বাজারেই ছবিটা একই।
এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারা। বাঙালির বেশির ভাগ তরকারিতেই আলু লাগে। কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় শুরু হয়েছে কালো বাজারি। বাসিন্দারা বলছেন, আলুর বদলে যে অন্য সব্জি কিনবেন তার উপায় নেই। সব সবজিরই দাম চড়া।
সোমবার থেকে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় হিমঘর খোলা থাকলেও বেরচ্ছে না কোনও আলু। হিমঘর থেকে আলু না বেরনোয় হিমঘরের আলু রাখার শেডগুলিও ফাঁকা। তবে কৃষকরা খাবার জন্য কিছু কিছু আলু হিমঘর থেকে বের করছেন।
চাহিদা থাকলেও জোগান না থাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। গত সপ্তাহে যেখানে ১৪০০ থেকে ১৪৪০ টাকা প্রতি বস্তা দামে আলু খুচরো মার্কেটে এসেছে, সেখানে খুচরো ব্যবসায়ীদের আলু কিনতে হচ্ছে বস্তা প্রতি ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়।
ক্রেতাদের বক্তব্য, যে পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে তাতে গোটা বছরটা চলে যাবার কথা। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি করে আলুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মাঝখান থেকে মুনাফা লুটছে তারা। প্রশাসনের উচিত ছিল আগেই কড়া হাতে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। তাহলে আলুর দাম এতটা বাড়ত না। বাসিন্দারা বলছেন, অনেক আলু বাইরের রাজ্যে রফতানি হয়ে গিয়েছে। এখানে চাহিদা মেটানোর জন্য অনেক আগেই আলুর রফতানি বন্ধ করা প্রয়োজন ছিল।
অনেকেই বলছেন, হিমঘরে মজুদ আলুর বেশিরভাগটাই ব্যবসায়ীদের তারা অনেক কম দামে আলু কিনে মুনাফা লোটার জন্য তা হিমঘরে মজুদ করে রেখে দিয়েছে। চাষীদের হাতে সেই আলু নেই বললেই চলে। অনেক ব্যবসায়ী পুজো পর্যন্ত আলু ধরে রাখার কথাই ভাবছেন তাই আলুর দাম এখনই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।