শিল্পপতির মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গোটা দেশ! এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না বিদ্বজ্জনেরাও। আসলে তিনি জাতীয় আইকন। তাই তো হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে ঘুরে ফিরে আসছে রতন টাটার কথা। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে ‘রেস্ট ইন পিস’ পোস্টে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের ওরলিতে হবে রতন টাটার শেষকৃত্য। প্রবীণ শিল্পপতিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেব্রিটি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা ভিড় জমাবেন। আশা করা হচ্ছে এমনটাই।
বুধবার রাতে মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রতন টাটা। তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন বলেন, “রতন টাটা একজন বিরল নেতা। যিনি শুধু টাটা গ্রুপেরই নয়, জাতি গঠনেও অবদান রেখেছেন।“
রতন টাটার হাত ধরেই টাটা একটা কোম্পানি থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন ‘লিডার’। তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। রাখা হয়েছিল ইনসেনটিভ কেয়ারে। সেই দিন বলা হয়েছিল, চিন্তার কিছু নেই, বয়সজনিত কারণে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
সবার প্রথম রতন টাটার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে মুম্বই পুলিশ। এরপর প্রবীণ শিল্পপতিকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার এক দিনের শোক দিবস ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র সরকার। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানান, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রতন টাটার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রতন টাটাকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাসভবনের বাইরে জড়ো হন বিভিন্ন পেশার মানুষ। হাজির হন টাটা গ্রুপের কর্মচারীরাও। সকাল ১০ টা নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে। সেখানে বিকাল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত শায়িত থাকবে দেহ। শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। বিকাল ৪টে নাগাদ মুম্বইয়ের ওরলিতে অনুষ্ঠিত হবে শেষকৃত্য।