ট্রাম্প ও বাইডেন

Presidential Debate: মার্কিন মুলুকের প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে বাইডেনকে তুলোধনা ট্রাম্পের, কী বললেন শুনলে চমকে যাবেন

ওয়াশিংটন: মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম বিতর্কসভাতেই ধুন্ধুমার। জো বাইডেনকে ‘মাঞ্চুরিয়ান প্রার্থী’ বলে কটাক্ষ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চিনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

সিএনএন-এর সদর দফতর আটলান্টায় বসেছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম বিতর্কসভা। সেখানে বাইডেনকে কার্যত তুলোধনা করেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থীর দাবি, বাইডেন চিনের মোকাবিলা করতে ভয় পান, কারণ “তাদের কাছ থেকে টাকা পান”।

আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মনে হয় উঁচু থেকে পড়ে যাচ্ছেন? কী অর্থ এমন স্বপ্নের! জানলে চমকে যাবেন

ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে এখন। চিনের সঙ্গে ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। উনি চিনের থেকে বেতন নেন। আসলে মাঞ্চুরিয়ান প্রার্থী। চিনের থেকে টাকা খায়”। এদিনের বিতর্কসভায় আগাগোড়া এঁকে অন্যের উপর খড়গহস্ত ছিলেন দুজনেই। সৌজন্য বিনিময়ও করেননি কেউ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যাবতীয় দায়ও বাইডেনের ঘাড়ে চাপান ট্রাম্প। জোর দিয়ে বলেন, আক্রমণই হত না “যদি আমাদের একজন নেতা থাকত”। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি টাকা দিয়েছে। বিশাল অঙ্কের টাকা। এরকম আর কোথাও দেওয়া হয়েছে বলে আমার মনে হয় না”।

উঠে আসে গাজা-ইজরায়েল সংঘাতও। হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলকে “কাজ শেষ করতে” বাইডেন সাহায্য করেননি বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। ব্যাঙ্গের সুরে বলেন, “একজন প্যালেস্তেনিয়ানের মতো আচরণ করেছেন। কিন্তু ওঁরা ওঁকে পছন্দ করে না, কারণ উনি খুব খারাপ প্যালেস্তেনিয়ান। খুব দুর্বল মানুষ”।

আরও পড়ুন: ত্বকে আচমকা বলিরেখা? আপনার এই অভ্যেসগুলি থাকলে সাবধান! পরামর্শ বিশেষজ্ঞের

অর্থনীতি, অভিবাসন ইত্যাদি নিয়েও একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দুই প্রার্থী। বাইডেনের বয়স ৮১ বছর, ট্রাম্পের ৭৮। বিতর্কে দুজনের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে অবশ্য বয়স দাগ কাটতে পারেনি। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বাইডেন সপাট বলে দেন, “ট্রাম্প আমাদের কী দিয়ে গিয়েছিলেন সেটা আমাদের দেখতে হবে”।

ট্রাম্পের সমালোচনা করে বাইডেন বলেন, “আমাদের অর্থনীতি ক্রমশ নীচে নামছিল। কোভিড মহামারী সামলাতে না পারায় বহু মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়। আর উনি বলেছিলেন, গুরুতর কিছু নয়, হাতে একটু ব্লিচ ইঞ্জেকশন দিয়ে দিন”। তবে বাইডেনের অভিযোগ উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতির নেতৃত্ব দিয়েছি। আগে কখনওই এত ভাল করিনি আমরা”। পাল্টা তোপ দাগেন বাইডেন, “বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতি? একমাত্র উনিই সেটা ভাবেন”।