বসিরহাট: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন দেখা যায়। চাষাবাদের ক্ষেত্রেও এই রেশ বজায় রয়েছে। সাম্প্রতি কালে অনেকেই গতানুগতিক ভাবে ধান-গমের মত খাদ্যশস্যের চাষ না করে চাহিদার ওপর ভর করে নতুন নতুন চাষের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
যেগুলির মাধ্যমে তাঁরা বিপুলভাবে লাভবানও হচ্ছেন। বসিরহাট এলাকায় তেমনভাবে কড়াইশুঁটি চাষের আগ্রহ না থাকলেও বর্তমানে এই চাষের দেখায় মিলছে। বসিরহাটের বাদুড়িয়া এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কড়াইশুঁটি চাষ করে লাভের দিশা দেখছেন কৃষকরা।
সিমের মতো দেখতে আকারে বেশ ছোট এই সবজি যা কড়াইশুঁটি নামেই পরিচিত। কড়াইশুঁটি কাঁচা অবস্থায় হোক কী রান্নায় দিয়ে, যে কানও অবস্থাতেই যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে নানা উপকার মেলে, বিশেষত শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এই সবজিটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ কড়াইশুঁটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, ডায়াটারি ফাইবার, ভিটামিন শরীরে একাধিক রোগ দূরে পালাতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু শারীরিক উপকারও মেলে।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া এলাকার কড়াইশুঁটি চাষের তেমন চল ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা জুড়ে বদলেছে চাষের ধরণ। বর্তমানে কৃষি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগ্রহ বাড়ছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কৃষকদের। বসিরহাটের বাদুড়িয়া এলাকার একাধিক কৃষকরা প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে কড়াইশুঁটি চাষ করেছেন।
এক সময় চাষ বলতেই শুধুমাত্র ঋতুভিত্তিক ধান, গম, পাট ইত্যাদি চাষের উপর ভিত্তি করে কৃষি কাজ করত কৃষকরা। কিন্তু বদলে যে সময় বদলেছে চাষের ধরন। ঋতুভিত্তিক চাষ পদ্ধতিতে আগের মত তেমন লাভ হয় না। সেজন্য কম সময়, পরিশ্রমে অনেক বেশি ফলন ও লাভের আশায় এবার চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ প্রথা ছেড়ে সবজি চাষে জোর দিলেন।
জুলফিকার মোল্যা