chandrakala

Puja Special Recipe: বিজয়া দশমীতে পুরনো কলকাতার স্বাদ, বানিয়ে নিন নারকেলের মিষ্টি চন্দ্রকলা

কলকাতা:  সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাংলায় ব্যবসা করতে এসে গঙ্গার আশপাশে থেকে যান অনেক পর্তুগিজ বণিক। এঁদের অনেকেই রান্নায় তুখড় ছিলেন। তাঁদের দেশের রান্নার কৌশল বাংলার খাবারে প্রয়োগ করে তৈরি হতে লাগল নানা নতুন পদ। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার-ই ফসল ছানার সন্দেশ। কলকাতায় ছানার তৈরি মিষ্টি ঢুকে পড়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। সেইসময় শহরে সচ্ছল-শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্ম হচ্ছে। এই শ্রেণি মজল সন্দেশের প্রেমে। ধীরে ধীরে বাঙালি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠল সন্দেশ। দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত সাহিত্যে সন্দেশের উল্লেখ মেলে, তবে সেই সন্দেশ তৈরি হত ক্ষীর আর খোয়াক্ষীর থেকে। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দোসর হত নারকেল। যেমন চন্দ্রকলা।

এই মিষ্টি পুরনো কলকাতার হেঁশেল আলো করে থাকত। একবার খেলে জিভে স্বাদ লেগে থাকবে। এই মিষ্টি বানিয়ে রাখতেও পারবেন ২-৩ দিন। চন্দ্রকলা বানাতে লাগবে খোয়া ক্ষীর: ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ, চিনি: ১/২ কাপ, কোরানো নারকেল: ১ কাপ, বেকিং পাউডার: ১/২ চা চামচ, গুঁড়ো দুধ: আধ কাপ, পরিমাণ মতো ঘি বা সাদা তেল, কাঠবাদাম-পেস্তা কুচি: ৩ টেবিল চামচ

ময়দায় ঘি, বেকিং পাউডার ও জল দিয়ে শক্ত করে মেখে নিন। একটা ভিজে কাপড় দিয়ে ঘণ্টা খানেক ঢেকে রাখুন। এবার একটা ননস্টিক প্যানে ঘি গরম করে নারকেল, বাকি খোয়া ক্ষীর, চিনি ও এলাচগুঁড়ো, কাঠবাদাম-পেস্তা কুচি দিয়ে ভাল করে পাক দিন। পুর তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা করে নিন। এবার ময়দা থেকে লেচি কেটে ছোট ছোট লুচির আকারে বেলে নিন। প্রতিটা লুচিতে পরিমাণ মতো পুর ভরে অর্ধচন্দ্রাকার আকারে গড়ে নিন। ধারগুলি একটু জল হাতে আটকে নিয়ে ভিতরের দিকে মুড়িয়ে নিন। কড়াইতে তেল ও ঘি মিশিয়ে গরম করে নিন। এবার চন্দ্রকলাগুলি মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভেজে নিন।