পুরুলিয়া : আর মাত্র একটা দিন। রাত পেরোলেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সুচনা হবে দেবীপক্ষের। গোটা বঙ্গবাসী মেতে উঠবে মা দুর্গার আগমনে। এইদিন সূর্য ওঠার সঙ্গে, সঙ্গে নদী বা জলাশয়গুলিতে শুরু হয় তর্পণ করার ভীড়। মূলত পিতৃপুরুষদের তুষ্ট করতে তর্পণ করা হয়। পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জলাশয় গুলিতে তর্পণের জন্য নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। পুরুলিয়া শহরের সাহেব বাঁধের পাড়ে বহু মানুষ ভিড় করেন। তাই এই সময় বিশেষভাবে সাহেব বাঁধকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলা হয়েছে পুরুলিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার পৌর প্রধান নবেন্দু মাহালী বলেন , ইতিমধ্যেই সাহেব বাঁধ আগে রূপে ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পর সাহেব বাঁধে কচুরিপানা নির্মূল হয়ে গিয়েছে। এই-বছর তাই পুণ্যার্থীদের ঢল আরও বেশি দেখা যাবে সাহেব বাঁধের পাড়ে। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা দিতে সবরকম ভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া থাকবে। থাকবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় মনমুগ্ধকর দৃশ্যে এই জায়গা, দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনারও! না গেলে মিস
যাতে সুষ্ঠুভাবে তর্পণের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর থাকছে পুরুলিয়া পৌরসভা।শাস্ত্রমতে পূর্বপুরুষের মৃত্যুর পরে তাঁদের প্রতি শ্রাদ্ধ এবং জলদানের উদ্দ্যেশ্য করা হয় তর্পণ। আর এইদিন থেকেই সূচনা হয় মাতৃপক্ষের। নানান রীতি ও আচারের মধ্যে দিয়ে করতে হয় তর্পণ।
আরও পড়ুন : আগের মত কদর নেই ডাক শিল্পীদের, মন ভার তাদের!
শহর পুরুলিয়াতেও চলছে তার প্রস্তুতি। সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। মানুষকে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে তৎপরতার সঙ্গে পুরুলিয়া পৌরসভা এই কাজ করে চলেছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি