উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের ভিড় চোখে পড়ে

RG Kar Hospital Incident Protest: আরজি কর কাণ্ডের জেরে চিকিৎসকদের প্রতিবাদে অমিল পরিষেবা, চরম ভোগান্তি রোগীদের

পার্থপ্রতিম সরকার এবং প্রিয়ব্রত গোস্বামী, কোচবিহার ও বাঁকুড়া: আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যজুড়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদে ব্যাহত স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ৷ বুধবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের ভিড় চোখে পড়ে। বেলা গড়ালেও দীর্ঘ ক্ষণ টিকিট কাউন্টার খোলেনি। ক্রমশ রোগীদের অপেক্ষার লাইন লম্বা হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা অপেক্ষা করতে থাকেন৷

এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার থেকে আসা এক প্রবীণ রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফিরতে হল শূন্য হাতে! ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। জানান, গত শনিবার তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শেষ ২ দিন কোনও চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, উল্টে মঙ্গলবার জোর করে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার এসেছিলেন বর্হিবিভাগে ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু বুধবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে আউটডোর না খোলায় ক্ষোভ, হতাশা। এভাবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলনের বিরোধী তিনি।

কার্যত একই ছবি বাঁকুড়াতেও৷ বুধবার ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোর খুলেছে ঠিকই। রোগীরা টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ ক্ষণ পরও টিকিট দেওয়া শুরু হয়নি। আদৌ বুধবার আউটডোরে পরিষেবা মিলবে কি না তা জানেন না রোগী, রোগীর পরিজন এমনকি আউটডোরের কর্মীরাও।

আরও পড়ুন : গাড়ির মালিকদের জন্য স্বস্তি! যানবাহন থেকে দূষণ ছড়ানোর ঘটনায় জরিমানা ১০ হাজার থেকে এক লপ্তে কমল অনেকটাই! জানুন এবার থেকে কত টাকা দিতে হবে

কারণ বাঁকুড়ার ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে আউটডোর বন্ধের নোটিশ পড়েছে। নোটিশ দেখে চিকিৎসা করাতে এসে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। হয়রানি শিকার রোগী-সহ পরিজনরা।

প্রসঙ্গত আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ একইসঙ্গে হাই কোর্টের তরফে আন্দোলনকারী আবাসিক ডাক্তারদের কাছে আবেদন রাখা হয়েছে৷ যাতে সরকারের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে আসা দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা শুরু করেন তাঁরা৷

তবে এই মুহূর্তে আন্দোলন এবং কর্মবিরতি থেকে তাঁরা সরছেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা৷ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকেরা জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের পরিষেবা সামলাচ্ছেন। কিন্তু তা-ও কিছু জায়গায় জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।