R G Kar Student Death: তরুণী চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে ক্ষত! আর জি কর কাণ্ডে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে শিউরে ওঠার মতো তথ্য

কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য৷ পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, ২২ বছরের ওই তরুণী চিকিৎসকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷ পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, তরুণীর দুই চোখ থেকেই রক্ত বেরিয়েছে। রক্তে বেরিয়েছে মুখ থেকেও। মৃতার গোপনাঙ্গেও ছিল ক্ষত। রক্তাক্ত৷

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, তরুণী চিকিৎসকের বাঁ পায়ে, পেটে, বাম পায়ের গোড়ালিতে, ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ ডান হাতের অনামিকা ও ঠোঁটেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। আঘাত করা হয়েছে মুখে৷ আঘাতের চিহ্ন মিলেছে নখের কাছেও।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ বৃহস্পতিবার রাত ৩টে থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ দেহের কলার বোনের কাছে ডান দিকে হাড়ের একটা অংশ ভাঙা৷ যদি কারও গলা হাত দিয়ে টেপা হয়ে থাকে সজোরে, এমন হাড় ভাঙতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা৷ তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই হাড় ভেঙে থাকতে পারে, তা নিয়ে চলছে তদন্ত৷

আরও পড়ুন: ভেঙে গিয়েছে কলার বোনের পাশের হাড়! গলা টিপে খুন? আর জি কর কাণ্ডে বাড়ছে ধোঁয়াশা

শুক্রবার সকালে তরুণীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চারতলার এক সেমিনার হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় সংজ্ঞাহীন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷ নিচু একটি খাটের মতো অংশে নীল চাদরের উপরে পড়েছিল তাঁর দেহ৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, সেই নীল চাদরের কিছু জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে৷

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সেই নীল চাদরে রয়েছে প্রচুর চুল ও রক্ত৷ তরুণীর মাথা ছিল পশ্চিম দিকে আর পূর্ব দিকে পা। দেহ ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় মিলেছে। পরনের পোশাক, অন্তর্বাস ছিল অবিন্যস্ত। দেহের পাশে পড়েছিল পরনের নীল জিন্স ও একটি ভাঙা চুলের ক্লিপ৷

আরও পড়ুন: গলায়, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন, চাদরে রক্তের দাগ! আর জি কর কাণ্ডে ভয়াবহ তথ্য সামনে

এদিন ঘটনা সামনে আসার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল৷ সন্ধের দিকে তিনি বেরিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি৷