প্রচারের ফাঁকেই বাজার করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Rachana Banerjee: ব্যাগ ভরে বাজার তো করলেন, রান্না করতে পারেন? সত্যিটা বলেই দিলেন রচনা

সোমনাথ ঘোষ, চুঁচুড়া: হুগলি থেকে শাসক দলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তিনি শিরোনামে৷ প্রচারে বেরিয়ে কখনও মুড়ি ঘুগনি, কখনও আবার দই খেয়ে প্রশংসায় ভরিয়েছেন৷ আবার তাঁর নানান উক্তি নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিম ছড়িয়েছে৷ তবু রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব কায়দাতেই জনসংযোগ বজায় রেখেছেন৷

বুধবারও প্রচারে চমক দিলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’৷ গতকাল হুগলির চুঁচুড়ায় প্রচার সারেন রচনা৷ প্রচারের মাঝেই অবশ্য জনসংযোগ সারতে স্থানীয় বাজার থেকে পছন্দের সবজিও কিনে নিলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী৷ তবে ব্যাগ ভরে বাজার করলেও রচনা জানিয়ে দিলেন, তিনি নিজে রান্না জানলেও তিনি সব পদ করতে পারেন না৷

আরও পড়ুন: ‘কে বড় নেতা, কে ছোট নেতা দেখবেন না!’ চিন্তা একুশের ফল, আরামবাগে দলকেই সতর্ক করলেন মমতা

বুধবার চুঁচুড়ার কাঠগোলা এলাকায় প্রথমে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পর মল্লিক কাশেম হাটে প্রচার সারেন তিনি৷ প্রচারের ফাঁকেই হাট থেকে আলু, পিঁয়াজ, আদা সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কেনাকাটা করেন রচনা৷ নিজে হাতে বেছে ঢ্যাঁড়স, ফুলকপিও কেনেন তিনি৷ কেনাকাটার ফাঁকেই তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জানান, চিংড়ি, কাতলা, মৌড়লার মতো মাছও তাঁর প্রিয়৷ তবে বেশি পছন্দের ছোট মাছ৷ তবে মাছ খেতে ভালবাসলেও সপ্তাহে তিন দিন নিরামিষ খান৷ রচনা অবশ্য অকপটেই স্বীকার করেন, তিনি নিজে সব রান্না পারেন না, তাই পরিচারিকাই রান্না করে দেন তাঁকে৷

রচনার প্রচার ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতোই৷ রচনাকে সামনে পেয়ে ক্রেতা বিক্রেতা অনেকেই সেলফি তোলার আবদারও করেন৷ হাসিমুখেই সে সব আবদার মিটিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী৷