রানা কর্মকার, বলাগড়: ভোট প্রচারে গিয়ে তাঁর নানা ধরনের মন্তব্য ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ রাজনীতিতে নতুন হলেও সাংবাদিকদের চোখা চোখা প্রশ্নেও সহজে কাবু করা যাচ্ছে না ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-কে৷ বরং হাসিমুখে নিজের মতো করেই সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এ বার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাড়ির ননদ-বৌদির ঝগড়ার তুলনা টানলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী৷ এ দিন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বলাগড়ে ভোট প্রচারে যান রচনা৷ বলাগড়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিবাদের খবর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে৷ তৃণমূলের এই বিবাদ তাঁকে চিন্তায় রাখছে কি না, এ দিন রচনাকে সেই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বাজি রচনা, প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধান্ত উল্টো পথে! বিরাট চমক দিল বিজেপি
জবাবে তারকা প্রার্থী বলেন, ‘কোন জায়গায় নেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? সব জায়গায় কিছু না কিছু সমস্যা আছে। পরিবারের মধ্যেও কত সমস্যা থাকে। স্বামী স্ত্রীতে সমস্যা, ননদ বৌদিতে সমস্যা। তার মধ্যে এত বড় একটা দল।হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয়না। প্রত্যেকের চিন্তা ভাবনা সব আলাদা। সেই আঙুলগুলি যখন এক হয় তখন একটা মুঠি তৈরি হয়। আর সেটা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতের চেটোটা হল তৃণমূল কংগ্রেস।’
এ দিন প্রচারে গিয়ে রচনা আরও বুঝিয়েছেন, এতদিন অভিনেত্রী হিসেবে ব্যস্ত থাকলেও বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামেরও খবর রাখেন তিনি৷ জীবনদায়ী ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রচনা বলেন, ‘শুধু ওষুধ না প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে আগে ৫০০ টাকার এক ব্যাগ বাজার করা যেত, এখন একটা ছোট প্যাকেটে হয়।মানুষের দৈনন্দিন জীবন চালানো সমস্যা হয়ে গিয়ে ছে।কত কিছুর দাম বাড়ছে৷ এরপর আরও কত বাড়বে৷আগে ডালের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি, এখন ১৩০ টাকা,আদার দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি, এখন ১৫০ টাকা,,কেরোসিন ৪০ টাকা ছিল এখন ১০০ টাকা।’
এ দিন বলাগড় বিধানসভার চন্দ্রহাটিতে ভোট প্রচারে যান হুগলির তৃনমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাগড়ে রচনাকে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো৷ যদিও তারকা প্রার্থীকে দেখার যে উৎসাহ, তা ভোট বাক্সে কতটা প্রতিফলিত হয়, তা জানা যাবে আগামী ৪ জুন৷