SRH vs KKR, Rahul Tripathi : প্রাক্তন নাইট রাহুল ত্রিপাঠীর কাছেই হার কেকেআরের! জয়ের হ্যাটট্রিক করল হায়দারাবাদ

কেকেআর -১৭৫/৮
সানরাইজার্স হায়দারাবাদ – ১৭৬/৩

সানরাইজার্স হায়দারাবাদ জয়ী ৭ উইকেটে

#মুম্বই: আইপিএলে টানা দ্বিতীয় হার কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের। দিল্লির বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে হারের পর আশা করা গিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে কামব্যাক করবে তারা। কিন্তু সেটা আর হল না। হতে দিলেন না রাহুল ত্রিপাঠী। প্রাক্তন নাইট রাইডার্স ব্যাটসম্যানের কাছেই এদিন অর্ধেক লড়াই হেরে গেল শাহরুখ খানের দল। অনবদ্য ৭১ রানের ইনিংস খেলে নকআউট পাঞ্চ দিলেন নাইটদের।

সাড়ে আট কোটি টাকায় তাকে নিয়ে ভুল করেনি সানরাইজার্স বুঝিয়ে দিলেন। মারলেন চারটি বাউন্ডারি এবং হাফ ডজন ওভার বাউন্ডারি। একবার শাহরুখ খান কেকেআরের হয়ে অনবদ্য খেলার পর তাকে বলেছিলেন, রাহুল নাম তো সুনাহি হোগা। আজ পুরোনো দলের বিরুদ্ধে যেন হিসেব মিটিয়ে নেওয়ার অঙ্ক করেই নেমেছিলেন মহারাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান।

কেন উইলিয়ামসন, অভিষেক রান না পেলেও, বাকি কাজটা করে দিলেন মার্করাম এবং পুরান। জয়ের হ্যাটট্রিক করল হায়দারাবাদ। এদিন বরুণ চক্রবর্তী, প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেলরা জঘন্য বোলিং করলেন। ব্রেবর্ন স্টেডিয়ামের উইকেটে ঘাস ছিল বেশ খানিকটা। ভুবনেশ্বর, মার্কো জানসেন, নটরাজন, উমরান মালিকদের খেলা রীতিমতো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল নাইটদের কাছে।

বলের সুইং এবং মুভমেন্ট চাপে রেখেছিল ফিঞ্চ, ভেঙ্কটেশ, শ্রেয়সদের। ফিঞ্চ ভুবনেশ্বরের বলে একটি ছয় মেরেছিলেন। মনে হয়েছিল আজ বড় ইনিংস খেলবেন তিনি। কিন্তু ৭ করে জানসেনের বলে খারাপ শটে ফিরে গেলেন। সম্পূর্ণ ব্যর্থ ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৬)। আউট হলেন নটরাজনের বলে। মিডল স্টাম্প নড়ে গেল। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (২৮) খেলাটা ধরে ফেলেছিলেন।

সঙ্গ দিচ্ছিলেন নীতিশ রানা। কিন্তু উমরান মালিকের ১৪৮ কিলোমিটার গতির বলে ব্যাট নামানোর সময় পাননি কেকেআর অধিনায়ক। লেগ সাইডে সরে গিয়ে শট মারার চেষ্টা করেছিলেন কেকেআর অধিনায়ক। শেলডন জ্যাকসন (৭) উমরান মালিকের বলে ছয় মারলেও, পরের বলেই পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন। কেকেআরের হয়ে লড়াই করলেন নীতিশ রানা। ৩২ বলে অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন। রাসেল শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত রইলেন।

কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার জানিয়ে দিলেন পরপর দুটো ম্যাচ হেরে তিনি অখুশি। কিন্তু তিনি মনে করেন যে রান স্কোর বোর্ডে ছিল, সেটা দিয়ে আরো বেশি লড়াই করা যেত। আসলে এদিন প্যাট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তীদের বোলিং বিভাগ দাগ কাটতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।